নিউজ ডেস্ক:
স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২৩ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু পরিষদ, রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২৭ আগস্ট ) দিলকুশাস্থ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু শব্দ দুটি ছিলো যেকোন অস্ত্রের চেয়েও শক্তিশালী। তিনি আরও বলেন, জয় বাংলার চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে সকলকে দেশ গঠনে আত্বনিয়োগ করতে হবে।
আলোচনা সভায় রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান কাজী ছানাউল হক বলেন, শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সকলকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যেতে হবে। তিনি সকলকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করারও আহবান জানান।
এ সময় ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও এবং রূপালী ব্যাংক বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর তাঁর আবেগঘন বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ মানে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু না থাকলে আমরা এই স্বাধীন দেশ পেতাম না। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে আমাদের কাছ থেকে কখনও মুছে ফেলা যাবে না। তিনি আছেন তিনি থাকবেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে আমরা তাঁর নামকরণকৃত রূপালী ব্যাংকের শক্তিশালী ভিত তৈরির মধ্য দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক ও সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এম লুৎফর রহমান।
ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক তাহমিনা আখতার, কাজী আব্দুর রহমান ও হাসান তানভীর, কোম্পানী সেক্রেটারি মোহাম্মদ শাহেদুর রহমান, মহাব্যবস্থাপক মো. হারুনুর রশীদ, মো. ইসমাইল হোসেন শেখ, মো. ফয়েজ আলম, মোহাম্মদ সাফায়েত হোসেন, মো. নোমান মিয়া, কমল ভট্টাচার্য, সালামুন নেছা, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ও এস এম দিদারুল ইসলামসহ ব্যাংকের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
রূপালী ব্যাংক বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মো. সুজাত আলী জাকারিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আল্লামা ইকবাল রানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।