Current Date:Nov 28, 2024

ঢাবির সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন

ঢাবি প্রতিনিধি : কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র মশিউর রহমানকে ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত ক্লাসে না ফেরার ঘোষণা দিয়েছে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এক মানববন্ধন থেকে এই ঘোষণা দেন তারা।

ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ আন্দোলন পরিষদের সদস্য মশিউর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। গত ৩০ জুন সূর্যসেন হল থেকে তাকে তুলে নিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আটকের বিষয়টি পুলিশ প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে তাকে আটক দেখানো হয়।

মশিউরের মুক্তির দাবিতে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে মানববন্ধন করতে আসেন বিভাগটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর পাশাপাশি মানববন্ধনে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল করিম, সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক রুশ্দ ফরিদী ও আন্তর্জাতিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানজীম উদ্দিন খান অংশ নেয়।

মানববন্ধনে বিভাগের ছাত্রী তিথী বলেন, ‘মশিউর আমাদের সহপাঠী ও নিয়মিত শিক্ষার্থী। সে আমাদের সঙ্গে ক্লাসে উপস্থিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা ক্লাস করব না।’

সমাজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা বলেন, ‘আমরা এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রের বিরুদ্ধে হওয়া সহিংসতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি। সেই দাবিও যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে জানানোর পরিস্থিতি না থাকে তাহলে সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য লজ্জাজনক।’

‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে এট সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। আমি ভাবিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদেরকে মানববন্ধনে দাঁড়ানোর প্রতিবাদে তাকে নির্মমভাবে পেটানো হবে।’

তিনি বলেন, ‘অহিংস আন্দোলনের বিরুদ্ধে সহিংসতা করে আপনারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাবমূর্তি মাটিতে মিশিয়ে দিচ্ছেন।’

মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান নেহাল করিম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এর দায় এড়াতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে বলতে পারি, আমাদের কোনো ধরনের খবর না জানিয়ে, আমাদের ছাত্রদেরকে জেলহাজতে নিয়ে যাবে সেটা কাম্য না।

অনতিবিলম্বে মশিউরকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে আমি কর্তৃপক্ষকে বলব অনতিবিলম্বে মশিউরকে ফিরিয়ে দিতে। এই না করলে হয়তো বিভাগের শিক্ষা কার্যকম ব্যাহত হবে সামগ্রিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাব পড়বে।’

 

Share