Current Date:Nov 28, 2024

থাইল্যান্ড, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে রেল যোগাযোগ চালুর প্রস্তাব

নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের মধ্যে রেল যোগাযোগ চালুর ব্যাপারে ঐকমত্য হয়েছে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড।গতকাল বৃহস্পতিবার ব্যাংককে নিজ কার্যালয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক শেষে একথা জানান থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেনারেল প্রায়ুত চ্যান ওচা।

তিন দিনের সফরে ব্যাংকক এসে বৃহস্পতিবার সকালে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেনারেল প্রায়ুত চ্যান-ও-চা’র সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। বৈঠকে দুই দেশের বানিজ্যিক উন্নয়ন সম্পর্কে সমুদ্র সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবহার ও আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি নিয়ে আলোচনা করেন তারা।

এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী বলেন, “রোহিঙ্গা ইস্যুতে থাইল্যান্ড প্রথম থেকেই বাংলাদেশের পাশে আছে। বর্তমানে দু’দেশের বানিজ্যিক সম্পর্ককে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। গভীর সমুদ্রে ডিপ-ফিশিংয়ে থাইল্যান্ডের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাই। বৈঠকে থাইল্যান্ড, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে রেল ও সড়ক যোগাযোগের একটি প্রস্তাব এসেছে।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, পরবর্তীতে এটাতে ভারত-চীনসহ অন্যান্য দেশকেও সঙ্গে নেওয়া যাবে। তবে, আপাতত থাইল্যান্ড, মিয়ানমার ও বাংলাদেশ। আমরা এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছি। এখন দেখা যাক, কাজ করতে হবে।”

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেনারেল প্রায়ুত চ্যান ওচা বলেন, “দু’দেশের বানিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আমরা সব সময় কাজ করছি। বাংলাদেশ যাতে তার সম্ভাবনাময় সমুদ্র সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার করতে পারে সেই ব্যাপারে আমরা সহযোগিতা করতে আগ্রহী।”

এসময় সমুদ্র সম্পদ আহরণ ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তা পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগাতে বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেয়ার আশ্বসও দেন তিনি। পরে থাইল্যান্ডের বিখ্যাত এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি-এআইটিতে বঙ্গবন্ধু চেয়ারের উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

চেয়ারের প্রথম প্রফেসর হিসেবে দায়িত্ব নেন ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়শ্রী রায়। প্রসঙ্গত দেশের বাইরে এই প্রথমবারের মতো থাইল্যান্ডের এআইটিতে চালু হলো বঙ্গবন্ধু চেয়ার। আর এরই মধ্যে দিয়ে সম্পর্কের দিক থেকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড।

Share