ডেস্ক রিপোর্ট : নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, একসময়ের দাপুটে মুসলিম লীগ এখন আর নেই। এখন আওয়ামী লীগ ও আরও কিছু রাজনৈতিক দল যেমন মনে করছে, এ রকম পরিস্থিতি না-ও থাকতে পারে। কার মধ্যে কী আছে, কেউ জানে না।
জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ শনিবার এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহমুদুর রহমান মান্না এ মন্তব্য করেন। রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনপদ্ধতি বাতিলের দাবি পরিষদ নামের একটি সংগঠন এই সভার আয়োজন করে।
মতবিনিময় সভা শুরুর আগে আয়োজক সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি লিখিত বক্তব্য পাঠ করা হয়। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, এক-এগারোর সময় ফখরুদ্দীন-মইনউদ্দিন গং দুই নেত্রী ও তাঁদের দলের রোষানল থেকে নিজেদের রেহাই দিতে দুই দলের ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার মোক্ষম হাতিয়ার ‘রাজনৈতিক দল নিবন্ধন’ নামের কালো আইন জাতির কাঁধে চাপিয়ে দেন। পরে ২০০৯ সালে আইনটি প্রণীত হয়। এই আইনটি ২০১৩ সালে বহুগুণ কঠিন করে তোলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সভা-সমাবেশ ও সংগঠনের স্বাধীনতা আছে। সেই অর্থে কোনো রাজনৈতিক দল পরিচালনা করতে নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই।
মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনে যাঁরা আছেন, তাঁরা নির্বাচন সুষ্ঠু কোনটা, তা-ই জানেন না। দল সুষ্ঠু কোনটা, তাঁরা কী করে জানবেন? নির্বাচন কমিশন এখন আমাদের ওপর ছড়ি ঘোরাবার চেষ্টা করছে।’ তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন প্রয়োগ করে সরকার নিজেদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে চায়। সেই চাওয়াকে সহযোগিতা করছে নির্বাচন কমিশন।
অনুষ্ঠানে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইনটিই তৈরি করা হয়েছে বাদ দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে। প্রাথমিকভাবে মনে হতে পারে যে ছোট ছোট রাজনৈতিক দলকে বাদ দেওয়া হবে। এখন এসে এটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, এটা আসলে ছোট ছোট দল বাদ দেওয়ার জন্য না। এটা আসলে একদলীয় শাসন কায়েমের হাতিয়ার হিসেবে তৈরি করা হয়েছে।
আয়োজক সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক খন্দকার খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনেম প্রমুখ।