Current Date:Oct 6, 2024

দূষিত হচ্ছে সমুদ্রসৈকত

ডেস্ক রিপোর্ট : বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত দূষিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সমুদ্রের পাড়ে অবস্থিত হোটেল-মোটেল আর কটেজের বর্জ্য গিয়ে মিশছে সমুদ্রের পানির সঙ্গে। এ ছাড়া সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে দূষিত হতে থাকা বাঁকখালী নদীর নোংরা পানি।

কক্সবাজারে ১২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সমুদ্রসৈকতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে প্লাস্টিকের খালি বোতল, চিপসের খালি প্যাকেট, বাদামের খোসাসহ নানা আবর্জনা। এ ছাড়া সমুদ্রের পাড়ে অবস্থিত সাড়ে চার শতাধিক হোটেল-মোটেল আর কটেজের বর্জ্য গিয়ে পড়ছে সমুদ্রের পানিতে। অন্যদিকে প্রতিনিয়ত দূষিত হতে থাকা শহরের বাঁকখালী নদীর নোংরা পানিও গিয়ে যুক্ত হচ্ছে সমুদ্রে। ফলে প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত। এ অব্যবস্থাপনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছে সচেতন মহল। তাদের মতে, দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি জরুরি হয়ে পড়েছে জনসচেতনতা বৃদ্ধি।

কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের দীপক শর্মা দীপু বলেন, আবাসিক হোটেল-মোটেল-কটেজের অপসারিত বর্জ্য ছাড়াও বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া সাড়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গার কারণে প্রতিনিয়ত সমুদ্রেসৈকত দূষিত হচ্ছে বলে জানান এই পরিবেশবিদ।

পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সাইফুল আশ্রাস জানান, সমুদ্রসৈকতের পরিবেশ ঠিক রাখার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর দায়িত্ব পালন করে গেলেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দূষিত করছে পরিবেশ।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, সমুদ্রসৈকত পরিচ্ছন্ন রাখা সকলের দায়িত্ব। এ নিয়ে যেসব অব্যবস্থাপনা রয়েছে, তা দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান করা হবে।

বিশেষ দিনে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বিচ ক্লিনিং’-এর নামে পরিষ্কার করা হলেও বাকি সময় অপরিষ্কার অবস্থায় থাকে সমুদ্রের পাড়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সচেতন মহরের দাবি, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত দূষণমুক্ত করে পর্যটন নগরীকে বাঁচানো হোক।

Share