নিজস্ব প্রতিবেদক: নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন ও টাকা জমা নেওয়ার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ কোম্পানিটির আইপিওর আবেদন জমা নেওয়া শুরু হবে। যা চলবে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ পর্যন্ত। আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদেরকে প্রতিটি শেয়ারের জন্য মূল্য নির্ধারিত হয়েছে ২৪ টাকা। স্থানীয় বিনিয়োগকারী ও অনিবাসী বাংলাদেশীদের জন্য মোট এক কোটি ৭৩ লাখ ৭ হাজার ৭০০ শেয়ার সংরক্ষিত আছে। গত ৪ জুলাই থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত বুক বিল্ডিং পদ্ধতির আইপিওর নিয়ম অনুসারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে নিলামে শেয়ার বিক্রি করা হয়। এতে তাদের জন্য সংরক্ষিত সব শেয়ার বিক্রি শেষ হয় ৩৩ টাকা ৯৭ পয়সা দরে। এটিই শেয়ারের কাট-অফ প্রাইস। বিএসইসির সর্বেশষ অনুসারে, কাট-অফ প্রাইসের উপর ৩০ শতাংশ ছাড় দিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করা হবে। এই হিসাবে নাভানা ফার্মার শেয়ারের দাম নির্ধারিত হয়েছে ২৪ টাকা। নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৭৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এই টাকা কোম্পানির নতুন উৎপাদন ভবন নির্মাণ, নতুন ইউটিলিটি ও ইঞ্জিনিয়ারিং ভবন নির্মাণ, সেফালোস্ফোরিন ইউনিটের সংস্কার, আংশিক ঋণ পরিশোধ ও আইপিওর জন্য ব্যয় করবে। বিগত ১ জুলাই, ২০২১ থেকে ৩১ মার্চ, ২০২২ তারিখ পর্যন্ত নয় মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ২ টাকা ৩৯ পয়সা। গত ৫ বছরে কর পরবর্তী মুনাফার ভারিত গড় হারে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৫১ টাকা। ৩১ মার্চ, ২০২২ তারিখে পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১৯ টাকা ০২ পয়সা। আর পুনর্মূল্যায়ন পরবর্তী মূল্য ছিল ৪৩ টাকা ৫৩ পয়সা। এই বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৩৯ পয়সা। আগের হিসাববছরে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ২ টাকা ৫২ পয়সা। আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে বিএসইসির দেওয়া শর্ত, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির আগে কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে না। উল্লেখ্য, কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছে এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনার্স ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও ইবিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।