নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচনের অন্তত ১০০ দিন আগে সংসদ ভেঙে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন বিকল্পধারা সভাপতি ও সাবেক প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী। তিনি বলেন, যাতে সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীরা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে সেজন্য আগেই সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ভোটার ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানান তিনি।
মঙ্গলবার রাজধানীর অল কমিউনিটি ক্লাবে কূটনীতিক, রাজনীতিবিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন, বিএনপির মাহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডির সভাপতি আ.স.ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরী,গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, বিকল্পধারার কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, শাহ আহম্মেদ বাদল আসাদুজ্জামান বাচ্চু প্রমুখ।
বি. চৌধুরী বলেন, যুক্তফ্রন্ট জাতীয় নির্বাচনের পর একটি জাতীয় সরকার গঠনের প্রতিশ্রিুতিবদ্ধ। ফ্রন্ট নিশ্চয়তা দিচ্ছে নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি মেধাবী লোকদের সাথে নিয়ে দেশেকে সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির পথে নিয়ে যাবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে বিশাল বাজেট দেওয়া হচ্ছে এবং যার জন্য দুর্নীতি সর্বোচ্চ শিখরে। কোনো সরকারি অফিস দুর্নীতি থেকে মুক্ত নয়। বি. চৌধুরী আরো বলেন, দেশে রাজনৈতিক নির্যাতন ও নিপীড়ন চলছে এবং গণতন্ত্র নেই। ঢাকায় ২০ ভাগ ভোটারের বসবাস হলেও বিরোধী দলকে সভা সমাবেশ করতে দেয়া হয় না।
সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, বিনা বিচারে হাজার হাজার রাজনৈতিক কর্মীকে জেলে আটক রাখা হয়েছে। রাজনৈতিক হয়রানি করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা দায়ের করা হয়েছে। যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান বলেন, একাধিক টেলিভিশন চ্যানেল ও সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া একধিক চ্যানেল সরকার নিয়ন্ত্রিত। তিনি বলেন, দেশে আইনের শাসন নেই। নির্বাচনকে প্রভাবিত করা হয় এবং এর সা¤প্রতিক উদাহরণ খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। পেশী শক্তি ও অবৈধ অস্ত্রের কারণে গনতান্ত্রিক নির্বাচনের সকল সম্ভাবনার অবসান ঘটেছে। বি. চৌধুরী বলেন, কালো টাকার জন্য সামাজিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে এবং জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। সাধারণ মানুষ, ভোটার ও রাজনৈতিক কর্মীদের জীবনের নিরাপত্তা নেই। এখন জাতীয় নির্বাচন জনগণের মৌলিক দাবি। কিন্তু তার আগে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে।