Current Date:Nov 28, 2024

‘নো’ তুলে নেওয়ার পরেই মাহমুদউল্লাহ-সাকিব ক্ষোভ দেখান

নিজস্ব প্রতিবেদক : পর পর দুটি বল বাউন্সার হওয়ায় পরর্বতীটি নো হওয়ার কথা। এ সময় লেগ আম্পায়ার নো বলের সংকেত দিলেও পরে শ্রীলংকার ক্রিকেটারদের প্রতিবাদের মুখে তা প্রত্যাহার করে নেন। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ব্যাটসম্যান মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

শ্রীলংকার প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামের সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ শেষ ওভার খেলছিল। বাংলাদেশের দরকার ছিল ১২ রান। প্রথম বলটি ছিল বাউন্সার। এরপর মাহমুদ উল্লাহকে স্ট্রাইক দিতে গিয়ে রান আউট হন মুস্তাফিজ।

নিয়ম অনুযায়ী, টি-টোয়েন্টিতে একটির বেশি বাউন্সার দিলে ‘নো’। মুস্তাফিজ যখন ফিরছেন, মাহমুদউল্লাহ লেগ আম্পায়ারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। আম্পায়ার ‘নো’ বলের সংকেত দেন।

এর প্রতিবাদ করেন লঙ্কান ক্রিকেটাররা। তারা আম্পায়ারকে ঘিরে ধরেন। লেগ আম্পায়ার গিয়ে মূল আম্পায়ারের সঙ্গে আলোচনা করে ‘নো’ তুলে নেন।

নো তুলে নেওয়ার প্রতিবাদ করেন মাহমুদউল্লাহ। মাঠের বাইরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাকিব। চতুর্থ আম্পায়ার তাকে বারবার আটকাতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছিলেন।

এর মাঝেই সাকিব ইশারা দেন দলের কম্পিউটার অ্যানালিস্টকে। তিনি রিপ্লে দেখে সাকিবকে জানান বল কাঁধের ওপর ছিল। এবার সাকিবের সঙ্গে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন দলের সবাই।

আম্পায়াররা নো বল দিতে রাজি নন। সাকিব ইশারায় দু্ই ব্যাটসম্যানকে ডেকে মাঠ ছেড়ে চলে আসতে বলেন। মাহমুদউল্লাহ ও রুবেল মাঠের বাইরে প্রায় চলেই গিয়েছিলেন। দুই দলের অন্য ক্রিকেটারদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। কথার লড়াই তো ছিলই, প্রায় হাতাহাতির উপক্রম। বাংলাদেশ দলের বেঞ্চে থাকা নুরুল হাসানের সঙ্গে লেগে যায় কুসল মেন্ডিসসহ লঙ্কানদের বেশ কজনের। ভরা গ্যালারি ফুটছিল তীব্র উত্তেজনায়। শব্দে কান পাতা ছিল দায়।

তখন ঠাণ্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামলান ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ। ব্যাটসম্যানদের বলেন খেলা চালিয়ে যেতে। সাকিব ক্ষোভ নিয়ে ঢুকে যান ড্রেসিং রুমে। সেখান থেকে মাহমুদউল্লাহর বীরত্বে অসাধারণ জয় হয়।

Share