Current Date:Nov 1, 2024

‘পরাজয় আতঙ্ক’ দূর করার ওষুধ কী?

স্পোর্টস ডেস্ক : অনেক বড় মুখ নিয়েই টুর্নামেন্ট শুরুর আগে তামিম ইকবাল বলেছিলেন, একের পর এক পরাজয়ে ড্রেসিংরুমে এক ধরণের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তাই প্রতিটি ম্যাচে খেই হারিয়ে ফেলছে ক্রিকেটাররা। চলতি নিদাহাস ট্রফিতে সেই ‘আতঙ্ক’ কাটিয়ে ওঠার কথাও বলেছিলেন দেশসেরা ওপেনার। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে তার ছিঁটেফোঁটাও দেখা গেল না!

ধুঁকতে ধুঁকতে ১৩৯ রান করে ৬ উইকেটে হার। সেটাও ভারতের দ্বিতীয় সারির দলের কাছে। কোহলি-ধোনি-হার্দিক-বুমরাহরা থাকলে যে কী হত তা বলাই বাহুল্য। ভারপ্রাপ্ত টাইগার অধিনায়কও গতকাল ম্যাচ শেষে স্বীকার করে নিলেন, এদিনও সংশয় ছিল তাদের মনে। এই সংশয় থেকেই বাজেভাবে আউট হওয়া, অসংখ্য ডট বল দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

মাহমুদ উল্লাহর ভাষায়, ‘আমার মনে হয়, সংশয় ছিল। ডট বলগুলোতে সেটিরই প্রমাণ মিলেছে। আমি নিজেই যেমন মনে হয় ৭টি ডট বল খেলেছি। তার পর আউট হয়ে গেছি। ডট বল নিয়ে আমাদের আরও কাজ করা উচিত। এই জায়গাটায় আমাদের কাজ করতেই হবে। এত ডট বল খেলে এগিয়ে যাওয়া কঠিন। শুধু বাউন্ডারির ওপর নির্ভর করে চলবে না। সিঙ্গেলের পাশাপাশি বাউন্ডারি হলে ব্যাটসম্যানরা চাপে থাকে না।’

দলে যদি শুধু জুনিয়র ক্রিকেটাররাই থাকত, তবে মানসিকতার ভারসাম্য নিয়ে প্রশ্ন উঠত। কিন্তু টাইগার দলে এখন সিনিয়র-জুনিয়রদের ভারসাম্য আছে। তাহলে কেন এই মানসিক সমস্যা? রিয়াদ বললেন, ‘মানসিকভবে প্রস্তুত হতে হবে। সবাইকে ভাবতে হবে কোথায় ভুল করেছি। আমি যেমন আজকে অনেক ডট বল খেলেছি। এই ছোট জিনিসগুলো নিয়ে যদি আমরা একটু সেন্সিবল হই, তাহলেই হবে। সবাই বসে যদি ঠিক করতে পারি, তাহলে ভালো কিছু হবে।’

এসব তো জানা কথাই। ক্রিকেটের মৌলিক নিয়ম। মানসিকভাবেই যদি কোনো দল পিছিয়ে যায়, মাঠের খেলায় তার হারের সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ। সমস্যা তো সবাই জানে, সমাধানের দাওয়াই টা কী? হাথুরুসিংহের মত কড়া কিন্তু অনুপ্রেরণাদায়ী কোনো কোচ? যোগ্য নেতৃত্ব? নাকি ক্রিকেটারদের আত্মজিজ্ঞাসা?

Share