স্পোর্টস ডেস্ক : রাশিয়া বিশ্বকাপে ব্রাজিল তারকা নেইমার বেশ আলোচিত ছিলেন। এমনকি ব্রাজিলের বিশ্বকাপ যাত্রা শেষ হবার পরও আলোচনায় ছিলেন নেইমার। তার কারণ যতটা না মাঠের পারফরম্যান্সের কারণে, তার চেয়ে বেশি ট্যাকলের শিকার হয়ে ডাইভ দেওয়ার কারণে। রাশিয়া বিশ্বকাপে হুটহাট পড়ে গড়াগড়ি খাওয়ার জন্য তাকে ‘অভিনেতাও’ বলা হয়েছে।
তবে ব্রাজিল তারকা সমালোচনা নিয়ে খুব একটা কথা বলেননি। কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ যাত্রা শেষ হবার পর নিজেকে গুটিয়ে রেখেছিলেন প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের তারকা নেইমার। তবে এবার তিনি ‘জিলেটের’ বিজ্ঞাপনে ৯০ সেকেন্ডের এক ভিডিওতে বিশ্বকাপে ফাউলের শিকার হওয়া এবং গড়াগড়ির বিষয়ে মুখ খুললেন। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের অ্যাকাউন্টে শেয়ারও দিয়েছেন সাবেক বার্সা তারকা। ব্রাজিলিয়ান টেলিভিশনেও দেখানো হয়েছে নেইমারের সেই বক্তব্যের ভিডিও।
ব্রাজিলের ২৬ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড ভিডিওতে বলেন, ‘প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়রা বন শিনে আঘাত করেন। মেরুদণ্ডে লাথি লাগে। পায়ের পাতায় পা দেয়। অনেকের মনে হতে পারে, আমি বেশি প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছি। হয়তো মাঝেমধ্যে আমি তা করেছি। কিন্তু সত্য হলো, মাঠে আমি অনেক ভুগেছি। তাদের ট্যাকল থেকে বাঁচার উপায় জানা ছিল না আমার। আসলে আমি কিসের মধ্য দিয়ে যাই, সে ধারণা আপনাদের নেই।’
নেইমারকে অনেকে উচ্ছৃঙ্খল, বখাটে বলে সমালোচনা করেছেন। এছাড়া নেইমার মিডিয়াও এড়িয়ে চলেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যখন আমাকে অভদ্র মনে হয়, তার মানে এই নয় যে আমি উচ্ছৃঙ্খল কেউ। আমি আসলে হতাশার সঙ্গে ঠিকঠাক মানিয়ে নিতে পারি না।’ এছাড়া নেইমার বিশ্বকাপের ব্যর্থতা ভুলে এবং সমালোচনার উর্ধে উঠে নিজেকে নতুন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চান বলেও জানান।
তিনি বলেন, ‘আপনাদের মনে হতে পারে, আমি পড়ে যাই। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, আমাকে ফেলে দেওয়া হয়। আমি আপনাদের সমালোচনা মেনে নিতে সময় নিয়েছি। আপনারা আমার দিকে পাথর ছুড়ে মারতে পারেন কিংবা সেটা বাইরে ছুড়ে আমাকে উঠে দাঁড়াতে সাহায্য করতে পারেন। কারণ, আমি উঠে দাঁড়ালে পুরো দেশ আমার সঙ্গে উঠে দাঁড়ায়।’