প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে। সফটওয়্যারের টেকনিক্যাল কোডিংয়ে ভুল হওয়ায় সার্বিক ফলাফলে সমস্যা তৈরি হয়েছে। এ কারণে ফলাফলটি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে বলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, সারা দেশে পাঠানো সব ফলাফল স্থগিত করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) থেকে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বৃত্তি ফলাফল প্রকাশের পরপর ডিপিই থেকে তা স্থগিতের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি সমাধানের জন্য অধিদপ্তর মহাপরিচালকের নেতৃত্বে একটা কমিটি বৈঠক করছেন। খুব শিগগিরই একটি সমাধান হয়ে যাবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) সিনিয়র সিস্টেস অ্যানালিস্ট অনুজ কুমার রায় ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে ফলাফলটি স্থগিত হয়েছে। দ্রুত সময়ে সমাধান করার জন্য আমরা বৈঠকে বসেছি। আশা করছি আজকের মধ্যেই সমাধান হয়ে যাবে।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ফল প্রকাশ করা হয়। সেখানে মোট ৮২ হাজার ৩৮৩ জনকে ২০২২ সালের বৃত্তির জন্য মনোনীত করা হয়। এদের মধ্যে ট্যালেন্টপুল কোটায় ছিল ৩৩ হাজার শিক্ষার্থী আর সাধারণ কোটায় ছিল ৪৯ হাজার ৩৮৩ জন।
এর আগে ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনা মহামারির কারণে প্রাথমকি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা না হওয়ায় প্রাথমিক বৃত্তি প্রদান করা সম্ভব হয়নি। ২০২২ সালের ২২ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তমন্ত্রণালয় সভায় ২০২২ সাল থেকে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেই ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর সারা দেশে একযোগে বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।