Current Date:Sep 28, 2024

ফিলিস্তিনিকে গুলিবর্ষণকারী সেনার পদক পাওয়া উচিত!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : একজন ইসরাইলি স্নাইপারের পক্ষ থেকে একজন নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ার ভিডিও প্রকাশিত হওয়ার পর ইসরাইলি যুদ্ধমন্ত্রী অ্যাভিগডোর লিবারম্যান ওই স্নাইপারের প্রশংসা করেছেন।

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ওই স্নাইপারকে পদক দেয়া উচিত এবং ফটোগ্রাফারের সামরিক আদালতে বিচার হওয়া উচিত।’

ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে ন্যায়পরায়ণ সেনাবাহিনী’ হিসেবে দাবি করে তিনি বলেন, ফ্রন্টলাইনে মাঝেমধ্যে এ ধরনের ‘উত্তেজনা’ হতেই পারে।

টুইটার এবং হোয়াটসঅ্যাপে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে ওই ফিলিস্তিনিকে গুলি করার সময় ইসরাইলি সেনারা যেসব কথা বলছিল তা স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে। এ সময় ওই নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি গাজার সীমান্ত বেড়ার কয়েক মিটার দূরে অবস্থান করছিলেন।

লিবারম্যানের বক্তব্যের পর ইহুদিবাদী বাহিনী জানায়, ২০১৭ সালের ২২ ডিসেম্বর গাজা উপত্যকার সীমান্তবর্তী কিসুফিম এলাকায় ওই ভিডিও ধারণ করা হয়েছে।

ভিডিও ফুটেজটিতে ইসরাইলি সেনা কমান্ডারকে বলতে শোনা যায়- ‘তোমার বন্দুকে কি গুলি আছে? তুমি কি তাকে নিশানা বানিয়েছ?’ এর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ইসরাইলি সেনারা একসঙ্গে উল্লাস প্রকাশ করে। এ সময় একজন সেনাকে বলতে শোনা যায়, ‘দারুণ! সে তার মাথায় গুলি করেছে।’

সম্প্রতি গাজা সীমান্ত অন্তত ৩০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইসরাইল; তবে আলোচিত ভিডিওটি চার মাস আগের ঘটনা বলে তেল আবিব জানিয়েছে।

যে ইহুদি সেনা এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করছিল সে তখন বলে ওঠে, ‘আমি কিন্তু এ দৃশ্য ভিডিও করেছি।’ এ সময় বাকি ইসরাইলি সেনাদেরকে শূন্যে লাফিয়ে উঠে আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা যায়।

গুলিবিদ্ধ ফিলিস্তিনিকে এরপর কয়েকজন ফিলিস্তিনি মিলে তুলে নিয়ে যায়। এরপর ওই ব্যক্তি বেঁচেছিলেন নাকি মারা গেছেন তা জানা যায়নি। তবে ইসরাইলি বাহিনী দাবি করে, তারা তার পায়ে গুলি করেছে।

একাধিক ইসরাইলি সংসদ সদস্য ও মানবাধিকার গোষ্ঠী এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলেছে, এই ভিডিওতে যা দেখা গেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী তাকে অভ্যাসে পরিণত করেছে এবং এটি কোনো ‘ব্যতিক্রমি ঘটনা’ নয়। সূত্র: পার্স টুডে

Share