Current Date:Oct 7, 2024

বসন্ধুরা সিটি শপিং সেন্টারে ক্রেতাদের ভিড় যেন লেগেই আছে

নিউজ ডেস্ক : রাত তখন ১০টা বাজে। দেখে মনে হয় এ বুঝি সন্ধ্যা নামলো। ক্রেতাদের ভিড় যেন লেগেই আছে। কেউ শপিং সেন্টারে ছুটছে, কেউ বা ব্যাগভর্তি কেনাকাটা করে ফিরছে। কেউ আবার এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ছুটে বেড়াচ্ছে।

বুধবার রাতে এমন চিত্রই দেখা যায় রাজধানীর বসন্ধুরা সিটি শপিং সেন্টারে। বুধবার ছিল ২৭ রমজান। ঈদের বাকি দুই থেকে তিনদিন। অনেকে বাড়ি ফেরা শুরু করেছেন।

ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অনেকে ঈদে বাড়ি ফেরার আগে টুকিটাকি কেনাকাটা করে নিচ্ছেন। আর যারা ঢাকায় ঈদ করছেন তারাই মূলত কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। সাধ্যের মধ্যে প্রিয় রঙ আর আধুনিকতার সমন্বয়ে পছন্দের পণ্যটি প্রিয় মানুষ ও নিজের জন্য কিনছেন শিশু, তরুণ-তরুণীসহ সব শ্রেণী-পেশার মানুষ।

বিভিন্ন বিপণিবিতান ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন বয়সী ক্রেতার ভিড়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিক্রেতারা। বাহারি রঙের নানান নকশার ঈদ পোশাকের সমাহারে জমে উঠছে ঈদের বাজার। ব্যবসায়ীদের অনেকেই ভারতীয় পোশাকের চাহিদা বেশি থাকার কথা বলছেন।

তরুণীদের চাহিদার প্রথম সারিতে আছে ভারতীয় পোশাক। এসব পোশাকের মধ্যে প্রাচী, মীরা, আয়েশা টাকিয়া, লেহেঙ্গা, রেডিমেড সেলাই ছাড়া, সেলাইসহ থ্রি-পিস অন্যতম। এসব পোশাকের দাম দেড় হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকার মধ্যে। বিদেশি সব আকর্ষণীয় পোশাকের পাশাপাশি দেশীয় বুটিকের কাপড় কিনছেন অনেক তরুণী।

ছোট মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে কলাবাগান থেকে এসেছেন সুস্মিতা চৌধুরী। তিনি বলেন, বুটিকের থ্রি-পিস কিনেছেন নিজের জন্য ও ছোট মেয়ের জন্য কিনেছেন জামা। গরমের কারণে দেশীয় সুতিকে প্রাধান্য দেন তিনি। ঈদের অন্য সব কেনাকাটা আগেই শেষ বলেও জানালেন এ গৃহিণী।

সুমাইয়া রহমান মেয়ের জন্য জুতা কিনতে এসেছেন। নতুন জুতা ছাড়া মেয়ে নিহা রহমান ঈদ করবে না। তাই মেয়েকে নিয়ে শপিংয়ে এসেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া নিলয় হাসান আড়ংয়ে পাঞ্জাবি দেখছিলেন। তিনি বলেন, ঈদের দিন সকালে নতুন পাঞ্জাবি ছাড়া নামাজ পড়তে ভালো লাগে না। তাই রং, ডিজাইন ও উন্নত সূতার কাপড়কে প্রাধান্য দিয়ে তিনি পাঞ্জাবি বাছাই করছেন।

বসুন্ধরায় এক জুতার দোকানি মো. রাসেল বলেন, বেচাবিক্রি ভালো হচ্ছে। অনেকে এখনও জুতা কিনতে শুরু করেননি, আশা করছি আগামী দুই তিন দিন বেচাকেনা আরও বাড়বে।

ননদ ফারাজানা আইরিন ও ভাবি রামিসা ফারিহা মিলে পরিবারের মুরব্বিদের জন্য শাড়ি কিনেছেন। এরপর ঘুরছেন ছোটদের পোশাক কেনার জন্য। আইরিন বলেন, আমাদের জন্য কিনেছি কিন্তু বাসার পিচ্চিদের ঈদের আগে প্রতিদিন শপিং সেন্টারে আসতে হয়। তাই একেক দিন একেক জামা কিনছি।

বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস ও বিপণিবিতানের পাশাপাশি ব্যস্ত সময় পার করছেন কসমেটিকসের দোকানিরা। অন্যান্য সময়ের তুলনায় ঈদের আগে এ সময়টাতে এসব দোকানে চাপ কয়েকগুণ বেড়ে যায় বেশি জানালেন বিক্রেতারা। তারা জানান, পছন্দের কাপড় কেনার পর ক্রেতারা, চুড়ি, নেলপালিশ, লিপিস্টিকসহ নানান কসমেটিকস আইটেম কিনতে এসময়ে ভিড় করেন। কেনাকাটায় ব্যস্ত সময়ের মধ্যেও বিপণিবিতানগুলোর সুযোগ-সুবিধা ও নিরাপত্তার দিকে লক্ষ্য রাখার বিশেষ আহ্বান জানান অনেক ক্রেতা।

ঈদ কিংবা অন্যান্য উৎসবের আগে নিজের বা পরিবারের জন্য কেনাকাটার জন্য ছুটতে হয় কোনো না কোনো বাজারে। নানা বাজার ঘুরে পছন্দের জিনিসটির কেনাকাটা পর্ব শেষ হয়। এ ধারা এখনও আছে। তবে কয়েক বছর ধরে এতে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। অনলাইন কেনাকাটা। অনেকে অনলাইন থেকেও টুকিটাকি কেনাকাটা সেরেছেন বলে জানান ক্রেতারা।

Share