Current Date:Oct 1, 2024

বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা

ডেস্ক রিপোর্ট : রমজানের আগে একের পর এক পণ্যের দাম বাড়ায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। গত দুই সপ্তাহে কয়েক দফায় বেড়েছে পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও চিনিসহ বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম। রমজানের এখনো এক সপ্তাহ বাকি। দাম আরও বাড়তে পারে বলে আতঙ্কে ক্রেতারা। এছাড়া আবহাওয়া খারাপের অজুহাতে বেড়েছে অনেক সবজির দাম। ক্রেতারা বলছেন, রমজানের কারণেই বাড়ছে পণ্যের দাম। ব্যবসায়ীরা ইচ্ছা করেই দাম বাড়াচ্ছে। অন্যদিকে, খুচরা বিক্রেতারা দাম বাড়ার জন্য পাইকারদের দুষলেও পাইকাররা বলছেন, বাড়তি চাহিদার কারণে দাম বাড়ছে।গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বাড্ডা, মহাখালী ও কারওয়ান বাজারের আশপাশের এলাকা ঘুরে এমন তথ্য জানা যায়। বেশি চাহিদার পণ্যের মধ্যে বাড়ছে মসলাজাতীয় কিছু পণ্যের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২-৫ টাকা বেড়ে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫২ টাকা, যা ছিল ৪৫-৫০ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজ কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর আগের সপ্তাহেও সব ধরনের পেঁয়াজ কেজিতে ১০-১৫ টাকা দাম বেড়েছিল। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে গড়ে ১০ টাকা বেড়ে চীনা রসুন ১২০-১৩০ টাকা এবং কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে দেশি রসুন ৮৫-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে বাজারে সপ্তাহখানেক আগে যে আদা বিক্রি হতো ৭৫ টাকায় সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) নিত্যপণ্যের তথ্য অনুযায়ী, পেঁয়াজের দাম কেজিতে গড়ে ৫ টাকা বেড়েছে। রসুনের দামও কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে ১৫০-১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কারওয়ান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী ইয়াসিন

আলী বলেন, রমজানে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার বাড়তি চাহিদা রয়েছে। এই তিন পণ্য অনেকটা আমদানিনির্ভর। রমজানের আগে মাসের শুরুতে ৯ দিনের মধ্যে ৭ দিন ছুটির ফাঁদে ছিল। এতে বন্দরে পণ্য খালাসে ধীরগতি থাকায় সরবরাহ কম হয়েছে। তা ছাড়া বৈরী আবহাওয়ার কারণে রাজধানীতে পণ্য সরবরাহ কম হচ্ছে। এদিকে বাজারে রমজানের বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়েছে। ফলে পণ্যের দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে সরবরাহ বাড়লে দাম স্বাভাবিক হবে বলে জানান তিনি।বাড্ডা বাজারের ক্রেতা রেজাউল করিম বলেন, বিশে^র বেশিরভাগ দেশেই রমজান মাসে পণ্যের দাম কমার কথা। কিন্তু না কমে উল্টো পণ্যের মূল্য বাড়াচ্ছে ব্যবসায়ীরা। যৌক্তিক কোনো কারণ ছাড়াই অতিরিক্ত মুনাফা লাভের জন্য দাম বাড়াচ্ছে। এতে বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এ বিষয়ে সরকারের বাজার তদারকি জোরদার করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।টিসিবির সয়াবিন তেল প্রতিকেজি ৮৫ টাকায় খোলাবাজারে বিক্রি হচ্ছে। কোম্পানির বোতলজাত সয়াবিন তেল ১০৫-১০৭ টাকা লিটারে বিক্রি হচ্ছে। খোলা সয়াবিন তেল কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৯০ টাকায় উঠেছে। টিসিবি খোলাবাজারে প্রতিকেজি আখের চিনি ৫৫ টাকায় বিক্রি করেছে। বাজারে সাদা চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। প্যাকেটজাত চিনিও একই দামে বিক্রি হচ্ছে। মহাখালী বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা ওয়াসিম বলেন, আবহাওয়া ভালো না থাকার কারণে গত কয়েকদিন ধরে সবজি সরবরাহ কমছে। এ কারণে পাইকারিতে দাম বেড়ে গেছে। খুচরায় সপ্তাহের ব্যবধানে ৪০ টাকা কেজি কাঁচামরিচ ৬০ টাকায় উঠেছে। প্রতিকেজি বেগুন ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগের সপ্তাহে ছিল গড়ে ৩৫ টাকা। পটল, ঢেঁড়স, ঝিঙা ও চিচিঙ্গাসহ অন্যান্য সবজি কেজিতে ৫-১০ টাকা বেড়ে ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

Share