বিএনপি নেতাদের চোখের চিকিৎসা করাতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

0
31

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের উন্নয়ন দেখতে না পাওয়ায় বিএনপি-জামায়াতের নেতাদের চোখের চিকিৎসা করাতে বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধন উপলক্ষে এক সুধী সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, উন্নয়ন বিএনপি-জামায়াতের চোখে পড়ে না। আসলে তারা অন্ধ। চোখের চিকিৎসায় আধুনিক চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট করে দিয়েছি। মাত্র ১০ টাকায় সেখানে চিকিৎসা নেওয়া যায়। তাদের (বিএনপি) অনুরোধ করবো, সেখানে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য। তাদের চোখের দোষ না, এটা তাদের মনের অন্ধকার। এদের ব্যাপারে সবাইকে সাবধান থাকতে হবে। তারা ধ্বংস জানে, সৃষ্টি জানে না। তারা আগুনে পুড়িয়ে মানুষ মারে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা যখন স্বাধীনতা অর্জন করি তখন ৮০ থেকে ৯০ ভাগ মানুষই দরিদ্র ছিল। পরনে ছিন্ন কাপড়, পেটে খাবার নেই, চিকিৎসা নেই, শিক্ষার ব্যবস্থা নেই, শোষণ, বঞ্চনা আর নির্যাতিত মানুষ।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর এ দেশের অগ্রযাত্রা থেমে যায়। অস্ত্র হাতে নিয়ে বন্দুকে নলের সাহায্যে সেনা আইন লঙ্ঘন করে যারা ক্ষমতা দখল করেছিল, তারা মানুষের ভাগ্য গড়তে আসেনি বরং আমাদের বিজয়ী পতাকা নষ্ট করা, স্বাধীনতার চেতনাকে নষ্ট করা, আমাদের যে আদর্শ সে আদর্শকে ধ্বংস করার জন্যই তাদের যাত্রা ছিল। নিজেরা অর্থশালী হয়েছে, দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়েছে, ঋণ খেলাপির কালচার শুরু করেছিল, তার ওপর সেনাবাহিনী-বিমানবাহিনীসহ আমাদের আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মীকে হত্যা, গুম, খুন করেছিল। এখনও সেই পরিবারগুলো তাদের আপনজনকে খুঁজে বেড়ায়। ২১টা বছর লঙ্ঘন মানুষ এভাবে কষ্ট পেয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করেছি। বড় বাজেট দিয়ে আমাদের সক্ষমতা প্রদর্শন করেছি এবং বাস্তবায়নও করেছি। করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে গেছে। আমদানি ব্যয় বেড়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি আছে। এজন্য সবাইকে বলবো, যতটুকু জমি আছে সেখানে কিছু না কিছু চাষাবাদ করুন। নিজের খাদ্য সামগ্রী নিজে উৎপাদন করুন। তাহলে আমরা হতে পারবো স্বনির্ভর।

রেলে সেবার মান বাড়ানো হবে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, রেলে কক্সবাজার আসা যাবে, এটা অনেকের আকাঙ্ক্ষা ছিল। আমরা করে দিয়েছি। যমুনা নদীর ওপর পৃথক রেল সেতু করছি। রেলমন্ত্রীর বাড়ি পঞ্চগড়, সেখান থেকে যেন সরাসরি কক্সবাজার আসতে পারে, সে ব্যবস্থা তো করতে হবে।