স্পোর্টস ডেস্ক: রাশিয়া বিশ্বকাপের উন্মাদনায় ভাসছে পুরো ফুটবল জগত। প্রতিটি ম্যাচেই চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। এরইমধ্যে শুরু হয়ে গেছে আসরের কোয়ার্টার ফাইনাল রাউন্ড। শেষ আটের এই লড়াইয়ে সর্বস্ব দিয়ে নিজেদের মেলে ধরছে দলগুলো। তারই জের ধরে গতকাল রাতে কাজান এরেনায় মুখোমুখি হয়েছিল চলতি আসরের অন্যতম ফেভারিট ব্রাজিল ও দুর্দান্ত ফর্মে থাকা বেলজিয়াম। উত্তেজনাপূর্ণ সেই ম্যাচে ২-১ গোলে ব্রাজিলকে হারায় লুকাকুরা। তবে এই ম্যাচে অপ্রতিরোধ্য ছিলেন বেলজিয়ামের গোলরক্ষক থিবাউ কুরতোয়া।
বেলজিয়ান এই পেশাদার ফুটবলারের জন্ম ১৯৯২ সালের ১ মে বেলজিয়ামের ব্রি’তে। প্রিমিয়ার লিগ ক্লাব চেলসিতে এবং বেলজিয়াম জাতীয় দলের জন্য গোলরক্ষক হিসেবে খেলছেন তিনি। ফুটবল জীবনে খুব অল্প বয়সেই প্রবেশ করেন কুরতোয়া। ১৮ বছর বয়সে বেলজিয়ান প্রো লিগ বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। ২০১১ সালের জুলাইয়ে তিনি ৮ মিলিয়ন পাউন্ডে চেলসিতে যোগদান করেন। পরে তাকে অবিলম্বে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে ধার দেওয়া হয়। সেখানে তিনটি মৌসুমে ২০১২ সালে ইউরোপা লিগ, ২০১৩ সালে কোপা দেল রে এবং ২০১৪ সালে লা লিগা শিরোপা জিতেছিলেন এই গোলরক্ষক।
কুরতোয়া লা লিগায় সেরা গোলরক্ষক রিকার্ডো জামোরা ট্রফিও জিতেছেন। এরপর ২০১৪ সালেন জুলাইয়ে কুরতোয়া চেলসিতে ফিরে আসেন এবং তার প্রথম মৌসুমে তিনি লিগ কাপ এবং প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জেতেন।
বেলজিয়ামের প্রতিনিধিত্বকারী সর্বকনিষ্ঠ গোলরক্ষক হয়ে ২০১১ সালের অলিম্পিকে কুরতোয়ার আন্তর্জাতিক অভিষেক ঘটে। তিনি ৫০টির’ও বেশি ক্যাপ অর্জন করেছেন এবং ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপ এবং ইউইএফএ ইউরো ২০১৩’তে উপস্থিত হয়েছেন।
রাশিয়া বিশ্বকাপেও আলো ছড়াচ্ছেন এই গোলরক্ষক। গতকালের ম্যাচে ব্রাজিলের দুর্দান্ত সব শট ঠেকিয়ে বারবার তাদের হতাশ করেছেন কুরতোয়া। এদিন ৮ মিনিটেই সুযোগ পায় ব্রাজিল, তবে তা গোলে পরিণত করতে পারেনি থিয়াগা সিলভা। পরেও আক্রমণের ধারা বজায় রাখলে ১৩ মিনিটে খেলার ধারার বিপরীতে এগিয়ে যায় বেলজিয়াম। কর্নার থেকে কেভিন ডি ব্রুইনার ক্রসে ফার্নান্দিনহোর আত্মঘাতী গোলে লিড পায় রবার্তো মার্টিনেজের শিষ্যরা। পরে প্রতিপক্ষ শিবিরে একের পর এক আক্রমণ হানতে থাকে দলটি। কিন্তু এরইমধ্যে আরেকটি গোল হজম করে এর খেসারত দিতে হয় তিতের দলকে।
৩১ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে লুকাকুর বাড়ানো বলে গোল করেন ডি ব্রুইনা। এতে স্কোরলাইন হয় বেলজিয়াম ২-০ ব্রাজিল। এরপরই মরিয়া হয়ে উঠে ব্রাজিল। একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে যায় নেইমার-মার্সেলোরা। তবে তাদের আক্রমণগুলো প্রতিহত করে দেন কুরতোয়া। পরে ৭৬ মিনিটে দুর্দান্ত হেডে ব্যবধান কমান অগাস্টো রেনোতো। এতে লড়াইয়ে ফেরার ইঙ্গিত দেয় ব্রাজিল। তবে সেক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাড়ান বেলজিয়ামের গোলরক্ষক কুরতোয়া।