অনলাইন ডেস্ক : গাড়িতেই চড়লেই অনেকে অসুস্থ বা বমি বমি ভাব বোধ করেন। কেউ কেউ আবার প্লেনে চড়লেও এ ধরনের অস্বস্তি বোধ করেন।এটাকে মোশন সিকনেস বলে। এটা হলে অনেকের আবার বমি হয়, মাথা ঘোরে, তদ্রাভাব, ঘাম হয়, অস্বস্তি, মাথাব্যথা, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া- এসব উপসর্গ দেখা দেয়।
মোশন সিকনেস কেন হয় তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন ভাবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তারা বলছেন, মানুষের শরীরে ৩টি অংশ গতি নির্ণয় করতে পারে এবং সেই তথ্য মস্তিষ্কে পৌছে যায়। এই তিনটি অংশ হল- চোখ,অন্তঃকর্ণ এবং ত্বক।এদের ‘সেন্সরি রিসেপ্টর’বলা হয়। যখনই এই ৩ সেন্সরের মধ্যে কোনও অসামঞ্জস্যতা দেখা দেয়,তখনই মূলত মোশন সিকনেস দেখা দেয়।
বেশিরভাগ মোশন সিকনেস খুব ভয়াবহ না। এগুলো এমনিতে সেরে যায়। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে এই সমস্যাগুলো প্রকট হয়ে ওঠে।
ভ্রমণের সময় যাদের মোশন সিকনেস দেখা দেয় তাদের জন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
১.গাড়িতে বসে সামনের দিকে না তাকিয়ে রাস্তার দিকে তাকান। অন্যান্য গাড়ির চলাফেরা দেখতে থাকুন।
২. ভ্রমণের সময়টা রাতে হলে চোখ বন্ধ করে থাকুন। তদ্রাভাব এলে বমি বমি ভাব কম লাগবে।
৩.ভ্রমণের সময় চুইংগাম চিবুতে পারেন। এটা অনেকসময় মোশন সিকনেস কমিয়ে দেয়।
৪. ভ্রমণের সময় আদা চিবুতে পারেন। এটাও বমি ভাব কমাতে সাহায্য করে।
৫. যাদের মোশন সিকনেস হয় তাদের ভ্রমন চলাকালনি সময়ে মোবাইল, ট্যাব ব্যবহার করা ঠিক নয়।।
৬. যে সিটে কম ঝাঁকুনি লাগে সেই সিট বেছে নেওয়ার চেষ্টা করুন।
৭. অস্বস্তি বোধ করলে জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে আস্তে আস্তে ছাড়তে হবে।
৮. সুন্দর, সুরেলা, স্নিগ্ধ গান শোনা যেতে পারে
৯. ভ্রমণের আগে ভারী খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
এছাড়া যাদের মোশন সিকনেস তীব্রতর হয় তারা ভ্রমনের ২ ঘন্টা আগে বমি ভাব কমানোর জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেয়ে নিতে পারেন।
সূত্র : মেডিকেল নিউজ টুডে , জি নিউজ