অনলাইন ডেস্ক : ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে দেশে যখন জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল তখন সাধারণ নাগরিকের ব্যানারে মানববন্ধন করা এই উদ্বিগ্ন অভিভাবকেরা কোথায় ছিল বলে প্রশ্ন রেখেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং দলের অন্যতম মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ।
রবিবার (০৮ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে’ এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
কোটা অান্দোলনকারীদের পক্ষ নিয়ে সাধারণ নাগরিকের ব্যানারে উদ্বিগ্ন অভিভাবক এবং শিক্ষকদের প্রতি প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, দেশে যখন জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল, দিনের পর দিন মানুষকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল তখন আপনারা কোথায় ছিলেন? তখন আপনারা প্রেসক্লাবের সামনে আসেননি কেনো? তখন আপনারা মানববন্ধন করেন নাই কেনো? বিএনপি যখন তাদের গঠনতন্ত্রের সাত ধারা বাতিল করেছিল তখন আপনারা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন নাই কেনো? আসলে আপনারা দেশে আগুন জ্বালাতে চান এবং আগুন জ্বালাতে যারা ব্যর্থ হচ্ছে আপনারা তাদেরকে সাহায্য করতে চান।
বিএনপি তাদের গঠনতন্ত্রের সাত ধারা বাতিলের মাধ্যমে দুর্নীতিবাজ ও উম্মাদদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে রূপান্তরিত হয়েছে মন্তব্য করে সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি তাদের গঠনতন্ত্রের সাত ধারা বাতিল করে দিয়েছে। সেই সাত ধারায় ছিল কোন ব্যক্তি দুর্নীতির দায়ে শাস্তি প্রাপ্ত হলে এবং কেউ যদি উম্মাদ হয় তিনি বিএনপির নেতৃত্বে থাকতে পারবেন না। প্রকৃতপক্ষে এখন বিএনপি তাদের গঠনতন্ত্রের সাত ধারা বাদ দেওয়ার মাধ্যমে দুর্নীতির দায়ে শাস্তি প্রাপ্তদের যেমন নেতৃত্বে থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন তেমনি উম্মাদ ব্যক্তিদেরও নেতৃত্বে থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন। অর্থাৎ বিএনপি এখন দুর্নীতিবাজ এবং উম্মাদদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে রূপান্তরিত হয়েছে।
জনগণকে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য কাউকে সুযোগ দেওয়া যাবে না। যারা পরিচয় গোপন করে সাধারণ নাগরিক ব্যানারে দাঁড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, যারা জামায়াত শিবিরের পরিচয় গোপন করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় এবং তাদের সহযোগী হিসেবে যারা আবির্ভূত হয় তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ও ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওমর বিন আবদাল আজিজের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, এম এ করিম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক প্রমুখ।