যে ৮ অভ্যাস বাড়ায় স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি

0
273

অনলাইন ডেস্ক : বর্তমানে বিশ্বে স্তন ক্যান্সারের প্রকোপ দিন দিন বেড়েই চলছে। ফলে নারীদের কাছে স্তন ক্যান্সার এখন একটি আতঙ্কের নাম। আর দৈনন্দিন কিছু অভ্যাসের ভুলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। আসুন জেনে নিই তেমন ৮টি অভ্যাস-

১. স্তনের আকার অনুযায়ী সঠিক মাপের ব্রা ব্যবহার না করলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। স্তনের আকারের চেয়ে বড় মাপের বক্ষবন্ধনী স্তনের টিস্যুগুলোকে ঠিকমতো সাপোর্ট দিতে পারে না। আবার অতিরিক্ত ছোট বা টাইট ব্রা’র কারণে স্তনের তরলবাহী লসিকাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

২. সারাক্ষণ ব্রা পরে থাকার কারণে ঘাম ও আর্দ্রতা জমে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। তাই ঘরে বসে ব্রা ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।

৩. প্লাস্টিকের বক্সে খাবার রাখলে এবং সেটিতে করেই ওভেনে খাবার গরম করলে, স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। এর চেয়ে কাঁচের পাত্র ব্যবহার করুন। আর প্লাস্টিক ব্যবহার করলে সেটি ফুড গ্রেড কিনা নিশ্চিত হয়ে নিন।

৪. ঘামের দূর্গন্ধ এড়াতে ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করি আমরা। এই ডিওডোরেন্ট কেনার সময় দেখে নিন, এতে কী কী উপাদান আছে। এলুমিনাম বেসড উপাদান থাকলে তা স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। ডিওডোরেন্ট প্রতিদিন ব্যবহার করা হয় বলে এ বিষয়ে সতর্ক হওয়া জরুরি।

৫. চুলে ব্যবহারের জন্য দোকান থেকে সস্তায় রঙ কিনবেন না। এতে চুল পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতিকর রাসায়নিকের কারণে হতে পারে স্তন ক্যান্সারও। তাই ভালো ব্র্যান্ডের ভেষজ চুলের রঙ ব্যবহার করুন। আর সবচেয়ে ভালো, মেহেদি ব্যবহার করা। কারণ মেহেদির কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

৬. ঘরের দূর্গন্ধ দূর করতে এয়ার ফ্রেশনারের ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এতে থাকা প্যাথালেট নামক প্লাস্টিসাইজিং রাসায়নিকের সঙ্গে স্তন ক্যান্সারের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। এর চেয়ে ফুটন্ত পানিতে এক টুকরো দারুচিনি ফেলে দিন। এতে ঘরময় সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়বে।

৭. আলমারির কাপড়চোপড় পোকামাকড়ের হাত থেকে বাঁচাতে ন্যাপথলিন ব্যবহার করি আমরা। অনেকে বাথরুমের দুর্গন্ধ এড়াতে বেসিন ও সিঙ্কেও ন্যাপথলিন ফেলে রাখেন। কিন্তু এটি ক্ষতিকর ক্যামিকেল দিয়ে তৈরি, যা আপনার স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ। এর চেয়ে নিমপাতা শুকিয়ে কাগজে মুড়িয়ে রেখে দিন। একই উপকার পাবেন।

৮. রান্নাঘরের সিঙ্ক বা কেবিনেট যে রঙিন তরল ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করা হয়, তাতে থাকা ক্যামিকেল স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। এটি মাইগ্রেন ও অ্যালার্জির প্রকোপও বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ক্যামিকেলযুক্ত এই ক্লিনার ব্যবহার না করে সিঙ্ক বা কেবিনেট ভিনেগার বা বেকিং সোডা দিয়ে পরিস্কার করুন। সূত্র: জিনিউজ