অনলাইন ডেস্ক : সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা রাতের শিফটে কাজ করেন অন্যান্যদের তুলনায় তাদের মধ্যে স্থূলতা, ডায়াবেটিসের প্রবণতা বাড়ে যা হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল বলছেন,মস্তিষ্ক থেকে ঘড়ির মতো দিন-রাতের পার্থক্য নির্ধারিত হয়। একই সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অংশ যেমন-ফুসফুস, অন্ত্র ও অগ্ন্যাশয় সব স্থানেই নিজস্ব ঘড়ি রয়েছে।
গবেষক দলের একজন হ্যানস ভেন ডনজেন বলেন,’কাজের শিফট পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কীভাবে শরীরের হজম প্রক্রিয়া পরিবর্তন হয় এটা কেউ জানে না। মস্তিষ্কও এই পরিবর্তন সহজে নিতে পারে না। একারণে যারা দিন-রাতের শিফট মিলিয়ে কাজ করেন তাদের শরীরের ঘড়ি কখনও সংকেত দেয় এটা রাত, কখনও আবার সংকেত দেয় এটা দিন, এতে বিপাকে সমস্যা হয়’। তিনি আরও বলেন, ‘এই গবেষণার মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি শিফটের কাজ এবং কিডনি অসুখের একটা সংযোগ রয়েছে।’ এছাড়া ঘুমের সময় এলোমেলো হওয়ার কারণে ঘুম কম হয়।এ কারণে অবসাদ, হতাশা,মানসিক স্বাস্থ্যও বিঘ্নিত হয়।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, দিন-রাত শিফট মিলিয়ে যারা কাজ করেন তাদের মধ্যে স্তন, ত্বক ও অগ্ন্যাশয়ে ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে।
গবেষকরা বলছেন, শিফটিং কাজ যারা করেন তাদের পরবর্তী জীবনে ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে। তারা আরও বলছেন, শিফটিং ডিউটি করলে কেন এসব রোগের ঝুঁকি থাকে তা নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। যদি কারণগুলি ঠিকমতো নির্ণয় করা যায় তাহলে আগামীতে এসব রোগ প্রতিরোধের উপায়ও তারা বের করতে পারবেন।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস