নিউজ ডেস্ক : নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট বিএস২১১ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার সারা দেশে রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হচ্ছে। গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এজন্য দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা রাখা হয়েছে অর্ধনমিত। এছাড়া আগামীকাল শুক্রবার মসজিদ মন্দিরসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয়ে দোয়া ও প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠানের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
প্রসঙ্গত, নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজটি গত সোমবার বিধ্বস্ত হয়ে বিমানবন্দরের পাশের একটি খেলার মাঠে পড়ে যায়। উড়োজাহাজটিতে ৭১ জনের মধ্যে ৪ জন ক্রু ও ৬৭ জন যাত্রী ছিলেন। এ ঘটনায় ২৬ বাংলাদেশিসহ ৪৯ জন নিহত হন।
এ দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার-পরিজন বিষয়টিকে মেনে নিতে পারছেন না তারা। সন্তান হারানোর শোকে বাকরুদ্ধ বাবা-মা। নিহতদের গ্রামের বাড়ি ও কর্মস্থলগুলোয় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। শোক কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে নিহতদের কর্মস্থল ও এলাকায়।
বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল জানান, এ দুর্ঘটনায় নিহত ২৬ বাংলাদেশির লাশ হিমঘরে রাখা হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের ময়নাতদন্ত শেষ করতে অন্তত তিন দিন লাগবে। এছাড়া যাদের পরিচয় শনাক্ত করা যাবে না, তাদের পরিচয় শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, নিহতদের মধ্যে আটজনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। বাকি কারও চেহারা বোঝা যাচ্ছে না। বুধবার নেপালের একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন তিনি। মন্ত্রী জানান, ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য ঢাকা থেকে দুটি মেডিকেল টিম কাঠমান্ডু গিয়ে কাজ করবে।