স্পোর্টস ডেস্ক : ব্যাটিং-বোলিংয়ের সুযোগ না পেলেও আগের ম্যাচে অন্তত দলে ছিলেন। কিন্তু পরের ম্যাচেই বাদ। কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্সে এভাবেই দিন কাটছে মাহমুদউল্লাহর। পেশোয়ার জালমি অবশ্য তামিম ইকবালকে ছাড়া এখনো মাঠে নামেনি। দলটির হয়ে কাল প্রথমবারের মতো মাঠে নেমেছিলেন সাব্বির রহমান। সাব্বির কিন্তু প্রথম সুযোগেই নায়ক হতে পারতেন!
কিন্তু তাঁর কাজটা করেছেন ড্যারেন স্যামি। চোট নিয়েও ব্যাটিংয়ে নেমে তাঁর ৪ বলে ১৬ রান জিতিয়েছে দলকে। টান টান উত্তেজনার ম্যাচে ২ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে জিতেছে জালমি।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেটে ১৪১ রান তুলেছিল কোয়েটা। ৫ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৪৭ রান শেন ওয়াটসনের। মিডল অর্ডারে রাইলি রুশোর ব্যাট থেকে এসেছে ২৫ বলে ৩৭ রান। এ ছাড়া বাকিরা ব্যর্থ। মাহমুদউল্লাহর বাদ পড়া নিয়ে প্রশ্নটা তাই উঠতেই পারে। কোয়েটা এ পর্যন্ত ৪ ম্যাচ খেলে ফেললেও তাঁকে মাঠে দেখা গেছে মাত্র এক ম্যাচে। সেটাও শুধু ফিল্ডিংয়ের সময়।
মাঝারি মানের স্কোর তাড়া করতে নেমে তামিমের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত কাভার ড্রাইভে বাউন্ডারি মেরে। বাংলাদেশের এ ওপেনার ম্যাচটা শেষ করে আসতে পারতেন। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে তামিম ক্রমশ গুটিয়ে নিয়েছেন নিজেকে। মোহাম্মদ হাফিজের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৫৪ রান তুললেও তামিমের ব্যাটিংটা ঠিক তামিমসুলভ ছিল না। ১ ছক্কা ও ৩ বাউন্ডারিতে ৩৮ বলে ৩৬ রান করে রানআউট হন। ১৬.৩ ওভারে পেশোয়ারের স্কোর তখন ৪ উইকেটে ১১২।
সাব্বিরের দায়িত্ব ছিল এখান থেকে ম্যাচটা শেষ করে আসা। জয় থেকে ২ ওভারে ২২ রানের দূরত্বে রাহাত আলীর দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি মারেন সাব্বির। কিন্তু পরের বলেই ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন মিড উইকেটে। তাঁর ১১ বলে ১১ রানের ইনিংসটি তাই আক্ষেপ হয়েই রইল। ম্যাচের এই টান টান পরিস্থিতিতে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে উইকেটে আসেন স্যামি। প্রথম বলটা খেলার সময় ৭ বলে ১৬ রান দরকার ছিল পেশোয়ারের। স্যামি করলেন কী, শেষ ওভারে লক্ষ্যটা নামিয়ে আনলেন ১০ রানে। মানে, ইনিংসের প্রথম বলেই ছক্কা!
আনোয়ার আলীর শেষ ওভারে চার বলের মধ্যে জয় তুলে নিয়েছেন এই ক্যারিবীয়। দ্বিতীয় বলে ছক্কা এবং চতুর্থ বলে বাউন্ডারি, এই না হলে স্যামি!