সোমবার ও মঙ্গলবার বৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে

0
127

নিউজ ডেস্ক : বজ্রপাতের ঘনঘটা বৃদ্ধির কারণে আগামী দুই দিন দেশের কয়েকটি এলাকায় ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকতে পারে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামীকাল সোমবার ও পরদিন মঙ্গলবারও ঝোড়ো হাওয়া আর ভারী বর্ষণ চলবে। শিলাবৃষ্টিরও আভাস রয়েছে কোথাও কোথাও।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ রোববার দুপুরে বাসসকে জানান, রোববার সকাল থেকে দেশের অনেক এলাকায় ভারী বর্ষণ হয়েছে। আগামী দুই দিনও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।

মো. বজলুর রশিদ জানান, আজ দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ময়মনসিংহে—৬৯ মিলিমিটার। রাজধানী ঢাকায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৫৫ মিলিমিটার।

আবহাওয়া অফিস জানায়, রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, সিলেট, যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ঢাকা, কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ ছাড়া রোববার সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, সিলেট, যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ঢাকা, কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে অস্থায়ীভাবে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বা আরও অধিক বেগে কালবৈশাখী বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে বিচ্ছিন্নভাবে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।

পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া এবং বিজলি চমকানোসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ এবং বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।

আবহাওয়া চিত্রের সংক্ষিপ্তসারে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

দেশের আট জেলায় বজ্রপাতে বাবা-ছেলেসহ ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার সিরাজগঞ্জ, মাগুরা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী, নওগাঁ, সুনামগঞ্জ, গাজীপুর ও রাঙামাটিতে এসব বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জে বাবা-ছেলেসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। মাগুরায় বজ্রপাতে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া বজ্রপাতের সময় মোবাইলের টাওয়ারে কাজ করতে গিয়ে পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।