Current Date:Nov 28, 2024

স্ত্রীর মামলায় নায়ক আসিফের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

বিনোদন ডেস্ক : স্ত্রী শামীমা আক্তারের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ‘ঘাসফুল’ ছবির নায়ক আসিফের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এবং এর সংশোধনী ২০০৩-এর ১১ (গ) ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬-এর বিচারক শহীদুল ইসলাম এই নির্দেশ দেন। এদিকে আসিফের আইনজীবী মামলাটি বাতিলের আবেদন করেন। কিন্তু আদালত এই আবেদন বাতিল করে আসিফের জামিন বহাল রেখেছেন। মামলার পরবর্তী তারিখ আগামী ৬ জুন। সেদিন সাক্ষীকে সঙ্গে নিয়ে বাদীকে আদালতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এসব তথ্য আজ দুপুরে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন মামলার বাদী শামীমা আক্তারের আইনজীবী তাপস চন্দ্র দাস।

আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন আসিফ। অভিযোগ গঠনের সময় তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।

মডেল ও অভিনয়শিল্পী কাজী আসিফ রহমান এর আগে প্রথম আলোকে জানান, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। তাঁর স্ত্রী শামীমা আক্তার আরও দুবার বিয়ে করেছেন। আর তা আসিফের কাছে গোপন করেন। আসিফের সঙ্গে বিয়ের কাবিননামায় শামীমা আক্তার ‘কুমারী’ লিখেছেন। যেহেতু তাঁদের সন্তান আছে, তাই তিনি স্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেননি। শামীমা আক্তার এর আগে দুবার তাঁর বিয়ে হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আসিফের কাছে মোটেও কিছু গোপন করিনি। আমি তাঁকে বিয়ের আগেই সব জানিয়েছি। আমার কাবিননামায় তালাকপ্রাপ্তা লেখা আছে। এই কাগজ এরই মধ্যে আদালতে জমা দিয়েছি।’

আইনজীবী তাপস চন্দ্র দাস বলেন, ‘আমরা আদালতে যে কাবিননামা জমা দিয়েছি, তাতে তালাকপ্রাপ্তা লেখা আছে।’

গত ৩ মার্চ কাজী আসিফ রহমানের বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রী শামীমা আক্তার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট কানাডাপ্রবাসী শামীমা আক্তারের সঙ্গে কাজী আসিফের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় সাত-আট লাখ টাকা মূল্যমানের আসবাবপত্র প্রদান এবং গাড়ি কেনার জন্য ১৮ লাখ টাকা দেওয়া হয় আসিফকে। গত ২ এপ্রিল আসিফ গাড়ি না কিনে টাকা দিয়ে কী করেছেন তা জানতে চাইলে শামীমা আক্তারের কাছে আরও ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে মারধর করেন।

 

শামীমা আক্তার আগেই জানিয়েছেন, আসিফের কাছ থেকে তিনি তালাকের নোটিশ পেয়েছেন। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, আসিফ গত ২ এপ্রিল স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন। কিন্তু তা পোস্ট করা হয়েছে ২৩ এপ্রিল।

গত ২৩ এপ্রিল রাত ১২টার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন থেকে আসিফকে গ্রেপ্তার করা হয়। মালয়েশিয়া থেকে নাটকের শুটিং শেষে দেশে ফিরছিলেন তিনি। পরদিন সকালে আদালত দুই পক্ষের শুনানি শেষে আসিফকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ২৫ এপ্রিল স্ত্রীকে আর নির্যাতন করবেন না এবং সন্তানের ভরণপোষণ করবেন—এই শর্তে তাঁকে জামিন দেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক শফিউল আজম।

আসিফ এরই মধ্যে কয়েকটি বিজ্ঞাপনের মডেল হয়েছেন। নিয়মিত ছোট পর্দায় কাজ করছেন। ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ‘ঘাসফুল’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে আলোচিত হন তিনি।

Share