Current Date:Nov 30, 2024

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে রূপালী ব্যাংকে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন

নিজস্ব ডেস্ক:

রূপালী ব্যাংকে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৯তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জ›মশতবার্ষিকী ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসকে স্মরনীয় করে রাখতে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে রূপালী ব্যাংকে বঙ্গবন্ধু কর্ণার উদ্বোধন করা হয়েছে। ১০ জানুয়ারি রোববার দিলকুশাস্থ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্ণার উদ্বোধন করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মনজুর হোসেন, এমপি এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ। এ উপলক্ষে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের মূল ফটকে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় ব্যাংকের ডিএমডি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, খন্দকার আতাউর রহমান ও মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, জিএম অশোক কুমার সিংহ রায়, মো.শফিকুল ইসলাম, মজিবর রহমানসহ ব্যাংকের উর্ধতন কর্মকর্তা ও ব্যাংকের সিবিএ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, আমাদের বাঙালি জাতির জীবনের প্রতিটি ক্ষণে যার অবদান জড়িয়ে আছে সেই হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনে আমরা বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন করতে পেরে গর্বিত।
বাঙালি জাতিকে ঘুমন্ত সিংহের সঙ্গে তুলনা করে ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু ত্রিশ বছর ধরে ঘুমিয়ে পড়া বাঙালি জাতির কানে কানে বলেছেন, তোমরাই শ্রেষ্ঠ, তোমরাই বীরের জাতি। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে ঘুমন্ত বাঙালি জাতি জেগে উঠেছিল। বঙ্গবন্ধু বুঝেছিলেন, শুধু সামরিক বাহিনী দিয়ে পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী সামরিক শক্তির বিরুদ্ধে বিজয় অর্জন সম্ভব নয়। তাই তিনি বাংলার আপামর জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করেছিলেন মুক্তি সংগ্রামে। দেশের বেসামরিক মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ৭৮ ভাগ ছিলেন কৃষকের সন্তান। পৃথিবীর কোথাও দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ ছাড়া কোন দেশ স্বাধীন হয়নি। কিন্তু মাত্র ৯ মাসে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। কারণ, বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধকে জনযুদ্ধে রূপ দিয়েছিলেন। আমরা আজ সত্যিই মাথা উঁচু করে বলতে পারি, আমরা শ্রেষ্ঠ জাতি।
ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে আমরা রূপালী ব্যাংককে ঢেলে সাজিয়েছি। মুজিব বর্ষ থেকে আমরা রূপালী ব্যাংকে নতুন স্লোগান যুক্ত করেছি, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে নিবেদিত একটি লাল-সবুজ ব্যাংক। আমরা মুজিব বর্ষে শূন্য সুদে কৃষি ঋণ বিতরণ করেছি। আমাদের স্লোগান “মুজিব বর্ষে শুভ দিন শূন্য সুদে কৃষি ঋণ।” আমরা মানুষের দোরগোড়ায় ব্যাংকের সেবা নিয়ে যাবো। মুজিব বর্ষে এই জন্য আমাদের স্লোগান “ রূপালী ব্যাংক মেলুক পাখা শতবর্ষে শত শাখা ।” আমরা আম্ফান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত আম চাষীদের মাঝে অর্থায়ন করেছি। বান্দরবানে আদা চাষের জন্য মুজিব বর্ষে আমরা ঋণ দেব। আমাদের উদ্যোগ সফল হলে আগামীতে আর দেশে আদা আমদানি করতে হবে না।

Share