স্পোর্টস ডেস্ক: অ্যান্টিগার মতো জ্যামাইকাতেও তিন দিনেই হেরে গেল বাংলাদেশ, দুই ম্যাচের সিরিজে হয়ে গেল হোয়াইটওয়াশও। দুই টেস্টেই বোলিংটা ভালো হলেও প্রত্যাশিত ব্যাটিং হয়নি। যে কারণেই পরাজয় বরণ করতে হলো সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন দলকে।
দুই ইনিংসে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২০ উইকেট তুলে নেয়াটা নিঃসন্দেহে বোলারদের জন্য বড় সাফল্য। তার চেয়েও বড় সাফল্য প্রথম ইনিংসে ৩৫৪ রান করা ক্যারিবীয়দের দ্বিতীয় ইনিংসে ১২৯ রানে অলআউট করা।
জয়ের জন্য দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৩৫ রান। প্রথম ইনিংসে যারা দেড়শ রান করতে পারেননি তাদের জন্য এটা ছিল কঠিন চ্যালেঞ্জ। তাছাড়া যারা অতীতে সর্বোচ্চ ২১৫ রান তাড়া করে জয় পেয়েছিল তাদের জন্য ক্যারিবীয় এই পেস আক্রমণের সামনে জয় ছিল দুঃস্বপ্নের মতো।
জয় পরাজয়ের চিন্তা দূরে ঠেলে দিয়ে সাকিব-তামিমরা যদি নিজেদের সেরা ব্যাটিং করতে পারতেন তাহলেও দায় মুক্ত হওয়ার সুযোগ পেতেন। সেটাও তারা করতে পারেনি, পারেননি বোলারদের সমান ঘাম ঝরাতেও। যে কারণে অ্যান্টিগার মতো জ্যামাইকা টেস্টও তিন দিনে শেষ।
শনিবার টাইগার ব্যাটসম্যানদের আশা-যাওয়ার মিছিলে উইকেটে কিছুটা সময় পার করেছেন সাকিব, মুমিনুল, মুশফিক, লিটন ও তাইজুলরা। সাকিব-মুশফিক-লিটনদের সৌজন্যে দুই টেস্টের চার ইনিংসের শেষটিতে দেড়শ রানের গন্ডি পেরিয়ে ১৬৮ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এছাড়া ৩৩ ও ৩১ রান করে করেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। আগের ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করা ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক জেসন হোল্ডার দ্বিতীয় ইনিংসে তুলে নেন ৬ উইকেট। এছাড়া রোস্টন চেজ দুই এবং পাওয়েল ও গ্যাবব্রিয়েল নেন একটি করে উইকেট।
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৪৯/১০ (তামিম ৪৭, সাকিব ৩২, মুশফিক ২৪, লিটন ১২, তাইজুল ১৮, মিরাজ ৩; হোল্ডার ৫/৪৪)।
দ্বিতীয় ইনিংস: ১৬৮/১০ (সাকিব ৫৪, লিটন ৩৩, মুশফিক ৩১; হোল্ডার ৬/৫৯, চেজ ২/২০)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ৩৫৪/১০ (ব্রাথওয়েট ১১০, হিতমার ৮৬; মিরাজ ৫/৯৩, আবু জায়েদ ৩/৩৮)।
দ্বিতীয় ইনিংস : ১২৯/১০ (চেজ ৩২, পাওয়েল ১৮, হিতমার ১৮ ; সাকিব ৬/৩৩)।
ম্যাচ : ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৬৬ রানে জয়ী।
সিরিজ: দুই ম্যাচ সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২-০তে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: জেসন হোল্ডার (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
সিরিজ সেরা: জেসন হোল্ডার (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)।