Current Date:Nov 26, 2024

৩০ ধর্ষণ ও ১৫ খুনের পর আত্মহত্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তার মাথার উপরে ঝুলছিল ৩০টি ধর্ষণ ও ১৫টি খুনের মামলা। তাকে ধরতে এক সময়ে নাকানি চুবানি খেতে হয়েছে দুই রাজ্যের পুলিশকে। ভয়ঙ্কর সেই অপরাধীই শেষ পর্যন্ত ব্লেড দিয়ে গলাকেটে নিজেকে শেষ করে দিল।

বুধবার সকালে ভারতের কর্ণাটকের সালেমের পারাপ্পনা আগরাহারা জেল রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তামিলনাড়ু ও কর্ণাটকের কুখ্যাত ‘সাইকো কিলার’ এম জয়শঙ্করকে। একের পর এক খুন ও জেল পালানো এই অপরাধীর উপরে নির্ভর করেই তৈরি হয়েছিল কন্নড় ছরি ‘সাইকো শঙ্কর’। সেই থেকে এম জয়শঙ্কর সাইকো শঙ্কর নামেই পরিচিত ছিল।

মঙ্গলবার ভোররাতে জেলের অন্যান্য কর্মীরা দেখে ব্লেড দিয়ে গলার নলি কেটে ফেলেছে জয়শঙ্কর। রক্তে চারদিক ভেসে যাচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গেই শঙ্করকে ভর্তি করা হয় বেঙ্গালুরুর ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে। সেখানেই সকাল ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

জেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বলা হয়, জয়শঙ্কর কারাগারের নাপিতের কাছ থেকে একটি ভাঙা ব্লেড চুরি করে শঙ্কর। সেই ব্লেড দিয়েই সে নিজের গলা কেটে ফেলে। ক্লাস টুয়েলভ (এইচএসসি) পাস করে ট্রাক চালানোর পেশা গ্রহণ করার পর অপরাধে হাতেখড়ি সালেমের বাসিন্দা জয়শঙ্করের।

২০০৯ সালে এক নারী পুলিশ সদস্যকে খুন করার পর সে প্রথম পুলিশের নজরে আসে। সে বছর কর্ণাটকের কানগেমন-এ অল ওমেন পুলিশ স্টেশনের কনস্টেবল এম জয়ামনিকে (৩৯) ধর্ষণ করে খুন করে জয়শঙ্কর। ওই মামলায় ২০০৯ সালে গ্রেফতার হয় জয়শঙ্কর।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালে ত্রিরুপুরে এক ধর্ষণের মামলাতেও তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। শুধু তাই নয় ২০০৮ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত মোট তিন জেলায় ১৩টি ধর্ষণ করেছে সে।

২০১১ সালে ১৭ মার্চ একটি খুনের মামলায় জয়শঙ্করকে ধর্মপুরি ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। আদালতের পথেই পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালায় এই অপরাধী। এরপর মে মাসের ১১ তারিখ তাকে ফের ধরা হয়। এর মধ্যেই সে ৬ নারীকে ধর্ষণ করে।

পুলিশের ধারনা, বেছে বেছে একাকী নারীদেরই টার্গেট করত জয়শঙ্কর। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নারীদের ধর্ষণ করে খুন করে ফেলত সে। এমন এক অপরাধী যে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করল, এতেই অবাক পুলিশ।

Share