Current Date:Oct 3, 2024

৪০ টাকার ফেন্টানিল ইনজেকশন বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়

অনলাইন ডেস্ক : কাঁচামাল সংকটে ব্যাহত হচ্ছে ব্যথানাশক ফেন্টানিল ইনজেকশনের উৎপাদন। এতে বাজারে অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে এ ইনজেকশনের দাম। প্রতিটি ১০০ এমএল ফেন্টানিল ইনজেকশনের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৪০ টাকা হলেও বর্তমানে তা ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, ফেন্টানিল ইনজেকশনের কাঁচামাল আমদানির জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অনুমোদন নিতে হয়। সেখানে অনুমোদন পেতে দীর্ঘসূত্রতার কারণে ইনজেকশনটির কাঁচামালের সংকট দেখা দিয়েছে।

উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জানান, ফেন্টানিলের কাঁচামাল আমদানির অনুমোদনের জন্য প্রথমে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-অঞ্চলে আবেদন করতে হয়। সেখানে আবেদন করার পর সংশ্লিষ্টরা কারখানা পরিদর্শন করে প্রতিবেদন অঞ্চল অফিসে জমা দেন। উপ-অঞ্চলের কর্মকর্তাদের পেছনে টানা লেগে থাকলে এক-দেড় মাসের মধ্যে ফাইল ছাড়িয়ে আনা সম্ভব। এরপর আঞ্চলিক অফিসের কোনো তথ্য জানার থাকলে আরো ১৫ দিন সময় চলে যায়। এরপর আঞ্চলিক অফিস থেকে প্রতিবেদন প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়। সেখানেও কোনো তথ্যের ঘাটতি হলে সময়ক্ষেপণ হয়। এভাবে ফাইল চালাচালির কারণে একটি ওষুধের কাঁচামাল আমদানির অনুমোদন করতে চার থেকে পাঁচ মাস সময় চলে যায়।

দেশে ফেন্টানিল ইনজেকশন উৎপাদনের লাইসেন্স রয়েছে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস, পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস, রেনাটা ও জিসকা ফার্মাসিউটিক্যালসের। এর মধ্যে ইনসেপ্টা ও পপুলার বর্তমানে উৎপাদনে রয়েছে বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে। তবে কাঁচামাল সংকটে এ দুটি কোম্পানির উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালসের এক কর্মকর্তা বলেন, কাঁচামাল আমদানির অনুমোদন পেতে আমাদের চার থেকে ছয় মাস সময় চলে যায়। ফলে কাঁচামাল সংকটে ফেন্টানিল ইনজেকশন উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান, যেকোনো ধরনের ছোট-বড় সার্জারি বা অস্ত্রোপচারের সময় রোগীর শরীরের তীব্র ব্যথা কমাতে ফেন্টানিল ইনজেকশনটি ব্যবহার হয়ে আসছে। এছাড়া ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রেও ফেন্টানিল ইনজেকশন ব্যবহার হয়ে থাকে।

কাঁচামাল আমদানির অনুমতি দেয়ার ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতার বিষয়ে জানতে চাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক মফিদুল ইসলাম বলেন, উৎপাদিত ওষুধ যেন যথাযথ ব্যবহার হয়, সেজন্য উৎপাদনের শুরুতে তাদের পরিদর্শকরা কারখানা পরিদর্শন করে থাকেন। তবে ফেন্টানিল ইনজেকশন সংকটের বিষয়টি এখনো তার নজরে আসেনি। অফিসে গিয়ে ফাইল দেখে বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজখবর নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

Share