নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ’৭৫-পরবর্তী সরকারগুলো পাকিস্তানি জান্তার এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী ছিলো বলে অভিযোগ করে বলেছেন, তারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর যে এজেন্ডা ছিলো ভিন্নভাবে সেটাই বাস্তবায়ন করে যাচ্ছিল।
তিনি বলেন, এ দেশ দরিদ্র থাকুক, এ দেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হোক। আর বাংলাদেশ যদি ব্যর্থ রাষ্ট্র হয় তাহলে পাকিস্তান খুশি হবে।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর এ দেশের মানুষ কষ্ট ভোগ করে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরই জনগণ বুঝতে পারে সরকার মানে জনগণের সেবক।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, পাকিস্তানের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী হিসেবে পাকিস্তানকে খুশি করাই ছিলো জিয়া, খালেদা জিয়া এবং এরশাদের এজেন্ডা।
শেখ হাসিনা আজ বিকেলে জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্ব করেন।
দলের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী এবং শেখ ফজলুল করিম সেলিম, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ী মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) সাজ্জাদ জহির, বীর প্রতীক, কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট নুরুল মজিদ হুমায়ুন এমপি, আওয়ামী লীগ মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান ও শাহে আলম মুরাদ বক্তৃতা করেন।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এবং উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আলোচনা সভাটি পরিচালনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি যুদ্ধবিধ্বস্থ দেশ গড়ে তুলে মাত্র সাড়ে ৩ বছরে প্রবৃদ্ধি ৭ ভাগে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিলেন। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের শর্ত পূরণ করে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পায়। যে দেশের শতকরা ৮০ থেকে ৯০ ভাগ মানুষ দরিদ্র ছিল। যে দেশ সম্পর্কে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার বলেছিল, স্বাধীন হলে তো এ দেশ একটি তলাবিহীন ঝুড়ি ছাড়া কিছুই হবে না।
তিনি বলেন, সেই দেশে জাতির পিতার নেতৃত্ব ছিলো বলেই তলাবিহীন ঝুড়ি না হয়ে স্বল্পন্নোত দেশের মর্যাদা পেয়েছিল। এরপর ’৭৫’র ১৫ আগস্টের ঘটনা ঘটলো এবং যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারাতো এ দেশের উন্নতি চায়নি। অগ্রযাত্রা চায়নি। এ দেশের মানুষ পেট ভরে ভাত খাক চায়নি। এ দেশের মানুষের লেখাপড়া, মাথা গোঁজার ঠাঁই হোক, রোগে চিকিৎসা পাক তা চায়নি।