স্পোর্টস ডেস্ক : দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের ১৬৬ রান তাড়া করতে নেমেছিল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। এমন লক্ষ্যে মোটামুটি ভালো শুরু পেলেই চলত পাঞ্জাবের। তবে ওপেনার লোকেশ রাহুল এমনই রুদ্রমূর্তি ধারণ করলেন যে দিল্লির বোলারদের প্রাণ ওষ্ঠাগত প্রায়! তিন ওভারের আগেই ৫০ পেরিয়ে গেছে পাঞ্জাব। আইপিএলের দ্রুততম ফিফটিও পেয়ে গেছেন রাহুল। রাহুলের এমন ইনিংসের পর দিল্লিকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে পাঞ্জাব।
দলীয় ৫৮ রানে যখন আরেক ওপেনার আগারওয়াল আউট হচ্ছেন, তখন তাঁর নামের পাশে ৭ রান! অন্য প্রান্তে যে এর আগেই তুলকালাম বাঁধিয়ে ফেলেছেন রাহুল। ২.৫ ওভারেই ফিফটি পেরিয়েছে পাঞ্জাব। একই সঙ্গে ফিফটি পেরিয়েছেন রাহুলও। নিজের ১৪তম বলটাকে বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে নিজের রানকে তুলে নিয়েছেন ৫১–তে, আর সেই সঙ্গে আইপিএলের দ্রুততম ফিফটিটাও হয়েছে তাঁর। অন্য প্রান্তে আগারওয়ালের রান তখন ১!
রাহুলের আজকের ইনিংসের আগে আইপিএলে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড ছিল দুজনের। ২০১৪ সালে ইউসুফ পাঠান ও ২০১৭ সালে সুনীল নারাইন ১৫ বলে ফিফটি করেছিলেন। সে রেকর্ড আজ মুছে গেছে রাহুল-তাণ্ডবে। তাণ্ডবের তোপটা সবচেয়ে বেশি গেছে অমিত মিশ্রের ওপর দিয়ে। তৃতীয় ওভারে মিশ্রর হাতে বল দেওয়াটা কত ভুল ছিল, সেটা প্রমাণ করতেই যেন প্রথম বলেই চার মেরেছেন রাহুল। পরের দুই বলে ছক্কা। এরপর আবার দুই চার। ৫ বলে ২৪ রান নিয়ে ক্লান্ত রাহুল হয়তো শেষ বলে তাই আর কিছু করতে পারেননি।
তবে এতেই বিশ্ব রেকর্ড হয়ে গেছে রাহুলের। তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলেই ফিফটিও ছুঁয়েছেন রাহুল। টি-টোয়েন্টিতে, হোক সেটা আন্তর্জাতিক কিংবা ফ্র্যাঞ্চাইজি, কোনো ব্যাটসম্যান এর আগে প্রথম ৩ ওভারে পঞ্চাশ পেরোতে পারেননি। অবিশ্বাস্য এমন কীর্তি আর কবে দেখা যাবে, কে জানে?
রাহুল–ঝড় অবশ্য এরপর টেকেনি। ফিফটির এক বল পরেই আউট হয়ে গেছেন । ১৬ বলে ৫১ রানের ইনিংসে ৬ চার ছাড়া ৪টি ছক্কাও ছিল। বাকিটা অবশ্য দলের পরের ব্যাটসম্যানরা ঠিকভাবেই সামলেছেন। ৩৩ বলে ৫০ রান তুলে নায়ার রানরেট ধরে রেখেছেন। ডেভিড মিলার (২৪*) ও মার্কাস স্টয়নিস (২২*) ৭ বল থাকতেই জয় এনে দিয়েছেন।