নিউজ ডেস্ক : দল ও মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কৃত আবদুল লতিফ সিদ্দিকী আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। শুক্রবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের দুই দিনের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় দর্শক সারির প্রথম দিকেই লতিফ সিদ্দিকীকে বসা অবস্থায় দেখা গেছে।
জানা যায়, শুক্রবার দুপুরেই লতিফ সিদ্দিকী এই সম্মেলনে যোগ দেন। এ সময় তার বাম পাশে বসা অব্স্থায় দেখা যায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম ও ডান পাশে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনিকে।
ছাত্রলীগের সম্মেলনে লতিফ সিদ্দিকীর যোগ দেয়া নিয়ে সম্মেলনে কানাঘুষা শুরু হয়। বহিষ্কৃত এই নেতা আবার আওয়ামী লীগে ফিরছেন বলেও সম্মেলনে উপস্থিত অনেকে বলাবলি করতে শোনা যায়।
এদিকে গত ৫ মে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বাংড়া ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত এ নেতা বলেছিলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগ ছাড়িনি, আওয়ামী লীগও আমাকে ছাড়েনি। আওয়ামী লীগের জন্মদাতাদের মধ্যে আমিও একজন।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো এক সাংবাদিক লিখেছেন আমি নাকি বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা। সন্তানকে বকাঝকা করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। তাই বলে কি মা সন্তানকে মন থেকে তাড়িয়ে দেয়?’
সেদিন লতিফ সিদ্দিকী আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এবং ১/১১ সময়ে অনেককেই খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজও দৃঢ় বিশ্বাসী। শেখ হাসিনার চেয়ে যোগ্য নেতা বাংলাদেশে আর নেই। আমাকে নেতার কাছে আনুগত্যের পরিচয় দিতে হবে না। আনুগত্যে আমি বঙ্গবন্ধুর কাছে গোল্ড মেডেল পেয়েছি, শেখ হাসিনার কাছেও গোল্ড মেডেল পেয়েছি।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি সফরে গিয়ে দলীয় এক সভায় হজ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন লতিফ সিদ্দিকী। ওই বক্তব্য বাংলাদেশে গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে প্রথমে মন্ত্রিসভা এবং পরে আওয়ামী লীগ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।