নিজস্ব প্রতিবেদক : সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, ঠাণ্ডা বাতাস থাকলে ঝড় উঠতে পারে, আমরা সেই ঝড়ের জন্যই নেমেছি। কালবৈশাখী ঝড়। কালবৈশাখী সৃষ্টির জন্য আমরা বদ্ধপরিকর। দেশে আর অগণতান্ত্রিক নির্বাচন নয়। এ ধরনের নির্বাচন করে আর পার পাওয়া যাবে না। এবার প্রতিবাদ প্রতিরোধ হবে।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক গোলটেবিল আলোচনা ও ইফতার অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
‘বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আগামী সংসদ নির্বাচন’ শীর্ষক সভার আয়োজন করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি। দলটির সভাপতি আ স ম আবদুর রবের সভাপতিত্বে মূল প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন।
আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সামাজিক রাজনৈতিক আন্দোলনের আহ্বায়ক অধ্যাপক হুমায়ুন কবির হিরু, বিশিষ্ট সাংবাদিক সালেহ উদ্দিন, জেএসডি নেতা আতাউল করিম ফারুক, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।
বি. চৌধুরী আরও বলেন, আমরা মাদকের বিরুদ্ধে। আমরাও চাই মাদকমুক্ত হোক বাংলাদেশ। কিন্তু তাই বলে একটি স্বাধীন দেশের নাগরিককে পাখির মতো গুলি করার অধিকার কেউ দেয়নি। মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ রক্তাক্ত হয়েছে। আর রক্তাক্ত হতে চায় না তারা। হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যায়- এগুলো কি সরকার জানে না? এসব কিছুর বিচার হবে। বাংলাদেশের সব নিপীড়িত মানুষের ঐক্য হবে যুক্তফ্রন্টের মাধ্যমে।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছেন। তার প্রমাণ একরামুল হত্যা।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে আ স ম আবদুর রব বলেন, আপনি ভারতকে সবকিছু দিয়েছেন, অনেক কিছু দিয়েছেন। সবকিছু দেয়ার ক্ষমতা জনগণ প্রধানমন্ত্রীকে কবে দিল?
ভারতের উদ্দেশে আ স ম রব বলেন, আমরা বন্ধুত্ব চাই, ভালোবাসা চাই। কিন্তু সবকিছু উজাড় করে দিয়ে নয়। তিস্তার পানি ছাড়া বন্ধুত্ব চিরস্থায়ী হবে না।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে জামিন দিতে হবে। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী তিনি। তার সেই অধিকার আছে।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আপনারা বদিকে ধরতে পারেন না। বলছেন প্রমাণ নেই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তার কোনো প্রমাণ নেই। সে কীভাবে দেশের বাইরে যাওয়ার সুযোগ পায় এ অবস্থায়। মাদক অভিযানে যাদের এখন পর্যন্ত মেরেছেন তাদের তালিকা দেন। পরিবারের নাম ঠিকানাসহ যাবতীয় তথ্য প্রকাশ করুন।আমি একরামের ঘটনার বিস্তারিত জানতে চাই। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এর তদন্ত দাবি করছি।
সুব্রত চৌধুরী বলেন, এ সরকার জয় বাংলা আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে একের পর এক অপকর্ম করে যাচ্ছে। এ সরকারকে কোনোভাবেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকার বলা যায় না। গোলটেবিল আলোচনায় উপস্থিত হয়ে তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলার আন্দোলন জোরদার করার লক্ষ্যে যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন গণসংস্কৃতি দলের সভাপতি শা ম স আল মামুন, সামাজিক শক্তির আহ্বায়ক হাবিবুল্লাহ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক জোটের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, প্যালেস্টাইন প্রত্যাগত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু, মুক্ত রাজনৈতিক আন্দোলনের সভাপতি সরূপ হাসান শাহীন, জাতীয় যুব পরিষদের আহ্বায়ক এসএম সামছুল আলম নিক্সন, সোনার বাংলা পার্টির চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এম শরীফুল ইসলাম, কংগ্রেস বাংলাদের চেয়ারম্যান সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ কুরানিক পার্টির চেয়ারম্যান শায়খুল শাহ ওয়ালী উল্যাহ ফরহাদ, জনদল নেতা জয় চৌধুরীসহ আরও দু-তিনটি সামাজিক ও ছাত্র সংগঠন।