আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নারীদের এত কথা বলা উচিত নয়, রেহাম খানের বিরুদ্ধে এই ট্যুইট করেছিলেন পারভেজ মোশাররফ। প্রাক্তন এই রাষ্ট্রপ্রধানকে পাল্টা জবাবে রেহাম খানও জানান, নারীদের কি করা উচিত তা কি ‘উনি’ অর্থাৎ মোশাররফ বলে দিবেন?
কটাক্ষের কেন্দ্রবিন্দু সাংবাদিক ও সমাজকর্মী রেহাম খানের আত্মজীবনী। নিজের লেখা আত্মজীবনীতে রেহাম খান বেশ কিছু বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ করেছেন। যা বুঝতে পেরেই নাকি মোশাররফ রেহামকে টার্গেট করেন। কী সেই বিস্ফোরক তথ্য তা এখনও না জানা গেলেও বইটি প্রকাশের আগেই বিতর্কের ঝড় পাকিস্তানে। কয়েকবার খুনের হুমকিও পাচ্ছেন ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রী।
মোশাররফের অভিযোগ, নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগের সমর্থক রেহাম। তাই নওয়াজের অ্যাজেন্ডাকে সামনে রেখে আত্মজীবনী লিখেছেন তিনি। প্রাক্তন স্বামী ইমারান খানকে অপমান করতেই রেহামের এই পদক্ষেপ। তেহরিক -ই-ইনসাফের প্রধান ইমরানের সঙ্গে রাজনৈতিক শত্রুতাও বাড়াতে চাইছেন রেহাম।
ট্যুইটে মোশাররফ স্পষ্ট জানান- নওয়াজ শরিফ রেহাম খানকে ব্যবহার করছেন। আর নওয়াজের কথা মতই নিজের আত্মজীবনীতে ভুল তথ্য দিচ্ছেন রেহাম। যা নারীদের মানায় না।
মোশাররফের সমস্ত অভিযোগকে অস্বীকার করেই রেহাম জানিয়েছেন, কীভাবে মোশাররফ নারীদের নিয়ে এই কথা বলতে পারেন? নারীরা কেন স্পষ্ট কথা বলতে পারবে না? নারীদের উপরই কেন রক্ষণশীলতা? পাশাপাশি নওয়াজ শরিফের সঙ্গে তাঁর আত্মজীবনীর কোনও সম্পর্ক নেই বলেও জানান রেহাম।
অবশ্য, নওয়াজ শরিফের প্রভাবের কথা অস্বীকার করলেও রেহামের বক্তব্যে নওয়াজের পক্ষে সমর্থনও লক্ষ্য করা গিয়েছে। সাংবাদিকদের তিনি জানান, নওয়াজ শরিফকে পাকিস্তানের মানুষ ভালোবাসে। নওয়াজের এগোতে কোনও মাধ্যমের প্রয়োজন নেই।
নিজের বই প্রকাশের আগেই বিতর্কের মুখে রেহাম খান। তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন পাকিস্তানের বিশিষ্টরা। রেহাম জানিয়েছেন, কারোর কাছেই নিজের বই নিয়ে জবাবদিহি করতে তিনি বাধ্য নন। ভুল না বুঝে তাঁর বইকে সমর্থন করুক পাকিস্তানের মানুষ।