Current Date:Nov 22, 2024

ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ পানি সংকটের মুখোমুখি ভারত

অনলাইন ডেস্ক: পোপ ফ্রান্সিস বলেছিলেন, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হবে পানি নিয়ে। আর এ পানি সংকট ক্রমেই তীব্রতর হচ্ছে। প্রতিবেশি দেশ ভারত বর্তমানে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় পানি সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। দেশটির প্রায় ৬০ কোটি মানুষ ভয়াবহ পানি সংকটে রয়েছেন

ভারতের পরিকল্পনা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইনস্টিটউট অব ট্রান্সফরমিং ইন্ডিয়া (নিটি) আয়োগ জানিয়েছে, ভারত বর্তমানে ইতিহাসের ‘ভয়াবহতম’ পানি সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। তারা বলছে, ২০৩০ সাল নাগাদ পানির চাহিদা হবে তখনকার সরবরাহ ক্ষমতার দ্বিগুণ।

ভারতের ২৪টি রাজ্য থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে নিটি আয়োগ রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই সংকট সামনের দিনগুলোতে বরং আরও তীব্র হবে। দিল্লি, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই ও হায়দরাবাদসহ ২১টি নগরীর ভূগর্ভস্থ পানি আগামী দুই বছরের মধ্যেই ফুরিয়ে যাবে। এতে ১০ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে এতে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। আর অবস্থা যদি এভাবে চলতে থাকে, তাহলে ২০৫০ সাল নাগাদ ক্ষতি হবে জিডিপির ৬ ভাগ। এই পানি সংকটের কারণে ভারতের খাদ্য নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়তে পারে। কারণ ভারতের ৮০ শতাংশ পানিই ব্যবহৃত হয় কৃষিতে।

ভারতের নগরী এবং শহরগুলোতে গ্রীষ্মকালে প্রতি বছরই পানির সংকট তৈরি হয়। কারণ বেশিরভাগ নগরী এবং শহরেই বাড়ি বাড়ি পাইপে পানি সরবরাহ করার মতো অবকাঠামো নেই।

পল্লী অঞ্চলেও পরিষ্কার পানির সংকট আছে। সেখানে অনাবৃষ্টির কারণে অনেক সময় ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভর করা যায় না। কারণ অনাবৃষ্টির সময় লোকে এখন আগের চেয়ে আরও বেশি মাত্রায় ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভর করে।

পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনায় কিছু কিছু ভারতীয় রাজ্য অন্য রাজ্যের তুলনায় ভালো করছে বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। যেমন-গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ ও অন্ধ্রপ্রদেশ। কিন্তু কিছু রাজ্যের অবস্থা খুবই ভয়াবহ। যেমন-উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, বিহার ও ঝাড়খণ্ড। ভারতের প্রায় অর্ধেক মানুষই এসব রাজ্যে থাকে। আর দেশটির কৃষি উৎপাদনের বেশিরভাগটাই আসে এসব রাজ্য থেকে।

Share