স্পোর্টস ডেস্ক: বয়স মাত্র ২৩। এ বয়স ক্যারিয়ার গোছানোর সময়। সেখানে কি না ক্যারিয়ারেরই ইতি টেনে ফেললেন সরদার আজমাউন। কারণটা আর কিছুই নয়, সমর্থকদের গ্লানি।
বুকভরা স্বপ্ন নিয়ে রাশিয়ায় এসেছিল ইরান। ঘরোয়া ফুটবলে দ্যুতি ছড়ানো সরদারকে ঘিরে স্বপ্নের জাল বুনেছিলেন ইরানিরা। যাকে নিয়ে এত আশা, সেই তিনিই সুপারফ্লপ। মুসলিম দলটিরও আশাভঙ্গ। প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায়।
এবারের বিশ্বকাপে খুব একটা খারাপ করেনি। ৩ ম্যাচে একটি করে জয়, ড্র ও হার। তবে শেষ পর্যন্ত স্পেন, পর্তুগালের সঙ্গে দৌড়ে পারেনি তারা।
সদ্যই দেশে ফিরেছেন ইরানি ফুটবলাররা। তবে আশা পূরণ করতে না পারায় সমর্থকদের রোষাণলে পড়েছেন তারা। ঝড়টা সবচেয়ে বেশি গেছে সরদারের ওপর দিয়ে। দুয়োধ্বনির সঙ্গে গালাগালিও হজম করতে হয়েছে তাকে। মাত্রাতিরিক্ত বাজে আচরণ সহ্য করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত অবসরেরই ঘোষণা দিয়ে ফেলেছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে আবেগতাড়িত বিবৃতি দিয়েছেন সরদার, দেশের হয়ে খেলা প্রত্যেক খেলোয়াড়ের কাছে স্বপ্ন। আমরা পুরোটা দিয়ে চেষ্টা করেছি। অজস্র ইরানিয়ানদের স্বপ্ন পূরণে সর্বোচ্চটা উজাড় করে দিয়েছি। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, সুখের বার্তা বয়ে আনতে পারিনি।
তিনি বলেন, জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারাটা গর্বের। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এজন্য গর্ব করে যাব। দুঃকভারাক্রান্ত হৃদয়ে বলছি, অনিচ্ছা সত্ত্বেও সরে দাঁড়াতে হচ্ছে। আমার বয়স মাত্র ২৩। অথচ পরিবেশ-পরিস্থিতি বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া ছাড়া উপায় ছিল না।এটুকু বয়সেই জীবনের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্তটি নিতে হলো।