স্পোর্টস ডেস্ক : বেলজিয়ামের কাছে কাল ২-১ গোলে হেরেছে ব্রাজিল। হেক্সা মিশনের গল্পটা তাই ১৬ থেকে ২০ বছরে ঠেকল এবার। এমন কিছু যে হবে, সেটা কাল কল্পনাতেও আনেননি ব্রাজিল-সমর্থকেরা। প্রিয় দলের জয় দেখতে তাই সবাই নজর রেখেছেন ম্যাচে। কেউ টিভি পর্দায়, কেউবা বড় পর্দায়। তবে অনলাইনে স্ট্রিমিং (বৈধ ও অবৈধ) করে দেখার সংখ্যাটাও কম নয়। এবারের বিশ্বকাপে কালকের কোয়ার্টার ফাইনালই সবচেয়ে বেশি মানুষ অবৈধভাবে দেখেছেন!
ব্রাজিলের ম্যাচ নিয়ে কখনোই উত্তেজনার কমতি ছিল না। গতকাল ব্রাজিল-বেলজিয়ামের ম্যাচের দৃশ্যও একই। টিভি, অনলাইন—যে যেখানে পেরেছেন, সবাই তন্ময় হয়ে ব্রাজিলের খেলা দেখায় ব্যস্ত ছিলেন। নিজের পছন্দের দলের খেলা দেখবেন সবাই—এ তো খুব স্বাভাবিক। তবে এতে কিন্তু নতুন একটা রেকর্ডও হয়ে গেল।
পাইরেসি নিরাপত্তা সংস্থা ইরডেটোর জরিপ অনুসারে গ্রুপ পর্বের সব কটি ম্যাচ দেখার জন্য এখন পর্যন্ত ৫০৮৮টি অবৈধ স্ট্রিমিং সাইট সৃষ্টি করা হয়েছিল। এর মাঝে ৫৮২টিই বানানো হয়েছিল ব্রাজিলের গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচ দেখানোর জন্য। অর্থাৎ ৩২ দলের বিশ্বকাপে ব্রাজিলের খেলার জন্য আগ্রহী ছিল ১০ ভাগের বেশি মানুষ। খেলা দেখার জন্য বৈধভাবে অনেক বেশি অর্থ চাওয়ায় মরক্কোতেও অনলাইন স্ট্রিমিং বেশ জনপ্রিয় ছিল। মরক্কোর তিন ম্যাচের জন্য ৫৬১টি স্ট্রিম লাইন সৃষ্টি হয়েছিল। তবে গতকাল আগের সব রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
ফেসবুক, ইউটিউবের যুগে অনলাইন স্ট্রিমিং এখন স্বাভাবিক ঘটনা। এই অবস্থায় নিজেদের অসহায়ত্ব স্বীকার করেছেন ইরডেটোর সাইবার নিরাপত্তা সেবার ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি ররি ও’কনর, ‘বিশ্বকাপ স্পোর্টিং ইভেন্টগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়। স্বভাবতই এমন কোনো ইভেন্ট অবৈধ ব্যবসায়ীদের ব্যবসার জন্য ভালো আকর্ষণ, সাধারণ দর্শকেরও। স্বত্বাধিকারী ও পণ্যের মালিকদের এর প্রতিরোধে এক হয়ে কাজ করতে হবে। টুর্নামেন্ট শেষ হতে আরও কিছু ম্যাচ বাকি, সেসব ম্যাচের দিকে আমরা নজর রাখব, এ জন্য আমাদের প্রযুক্তি আরও উন্নত করতে হবে।’