অনলাইন ডেস্ক: মোবাইল থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া আজকাল মানুষের যৌনজীবনকে নিয়ন্ত্রণ করে! আর হবে না-ই বা কেন। জীবনের সব ক্ষেত্রে যদি প্রযুক্তির প্রভাব থাকে, তা হলে যৌন জীবন-ই বা বাদ যায় কেন!
নজরদারি
৮১ শতাংশ নারী-পুরুষ জানিয়েছে, তারা তাদের প্রাক্তন প্রেমিক বা প্রেমিকার উপর ফেসবুকে নজরদারি চালায়। প্রাক্তন কোথায় গেল, কার সঙ্গে গেল, কোন পার্কে কতক্ষণ সময় কাটাল, সবই জেনে নেয় ফেসবুক থেকে। মজার ব্যাপার হল, সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরও কেউ কাউকে আনফ্রেন্ড করে না। অবচেতন মনে তখনও যে অধিকারবোধ কাজ করে, তা থেকেই জন্ম নেয় নজরদারির স্বভাব। যদিও প্রাক্তন অন্য কারও সঙ্গে ভাল আছে জানলে ঈর্ষায় জ্বলে যায়।
ফোন নিয়ে বিছানায়
সেক্সের সময় ফোন না দেখলেও অন্তত ৮৭ শতাংশ নারী-পুরুষ তা সঙ্গে নিয়ে বিছানায় যায়। সেক্স হয়ে যাওয়ার পরই আবার তারা ফোন নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু করে। ফেসবুক দেখা, হোয়াটসঅ্যাপ করা ইত্যাদি শুরু হয়ে যায়। পুরুষদের ক্ষেত্রে এই প্রবণতা বেশি। এ নিয়ে পার্টনারের সঙ্গে কথা কাটাকাটিও হয়।
হাই-টেক ব্রেক আপ
সামনাসামনি নয়, মানুষ এখন হাই-টেক পদ্ধতিতে ব্রেক আপের কথা বলতে পছন্দ করে। এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুক মেসেঞ্জার এক্ষেত্রে মাধ্যম হিসাবে কাজ করে। কারণ, সামনাসামনি ব্রেক আপের কথা বলে কেউই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে চায় না। বরং অন্তরালে থেকে হাই-টেক মাধ্যমে তা জানিয়ে দেওয়া সহজতর হয়।
ফ্লার্ট করলে কাম জাগে
৬১ শতাংশ নারী-পুরুষ জানিয়েছে, তারা ফেসবুকে অচেনা ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে ফ্লার্ট করে। এরা অধিকাংশই অল্পবয়সী। ফ্লার্ট করতে করতেই তাদের ভিতর সেক্স করার ইচ্ছা জাগে।
যৌনগন্ধী কনটেন্ট শেয়ার
৭০ শতাংশ নারী-পুরুষ জানাচ্ছে, তারা পার্টনারের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যৌনগন্ধী টেক্সট, ছবি, ভিডিও ইত্যাদি শেয়ার করে। সে সব দেখে কামতাড়ানা জাগে। অর্থাৎ সেক্স করার ইচ্ছে জাগিয়ে তোলার ব্যাপারে যৌনগন্ধী কনটেন্টের ভূমিকা রয়েছে।
স্কাইপ সেক্স
২০ শতাংশ পুরুষ ও ১০ শতাংশ মহিলা জানিয়েছে, তারা কোনও কারণবশত দূরে থাকলেও স্কাইপে নগ্ন হয়ে পরস্পরকে নিজেদের শরীর দেখায়। পুরুষরা স্কাইপে নগ্ন প্রেমিকাকে দেখে ওয়েব ক্যামের সামনেই হস্তমৈথুন করে।
মোবাইলে পর্নোগ্রাফি
৫০ শতাংশ নারী-পুরুষ জানিয়েছে, তারা মোবাইলে পর্নোগ্রাফি দেখতে ভালবাসে এবং বিভিন্ন সেক্স পজিশনের ধারণা তারা পর্নোগ্রাফি থেকেই পায়।
ডেটিং ওয়েবসাইট
৩০ শতাংশ নারী-পুরুষ জানিয়েছে, কোনও না কোনও ডেটিং ওয়েবসাইটে তাদের অ্যাকাউন্ট আছে। এই ৩০ শতাংশের মধ্যে একাংশ আবার ভুয়ো প্রোফাইল বানিয়ে ডেটিং করে।