স্পোর্টস ডেস্ক: নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ফাইনাল ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ২৫ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। সালমা খাতুনের দল প্রথমে ব্যাট করতে নেমে আয়ারল্যান্ডকে ১২৩ রানের টার্গেট দেয়। জবাবে আইরিশ মেয়েরা ৯৭ রানেই অলআউট হয়।
নেদারল্যান্ডসের উট্রেক্টে শনিবার ব্যাটিংটা খুব একটা ভাল করতে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে দলের মূল শক্তি বোলিং জ্বলে উঠেছে আবারও। এদিন বোলারদের মধ্যে উজ্জ্বলতম ছিলেন পান্না ঘোষ। বাংলাদেশের হয়ে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড গড়ে ফাইনালে এই পেসার নিয়েছেন ১৬ রানে ৫ উইকেট।
গত ম্যাচেই আইসিসি নারী টি-২০ বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলার টিকেট নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। আজকের ম্যাচে আইরিশরা টসে জিতে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন টাইগ্রেসদের। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করেন শামীমা-আয়েশা। দুজনে ৩ ওভার ৬ বলে তোলেন ২৮ রান। এর পর আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান শামীমা। তিনটি চারের মারসহ তার ব্যাট থেকে আসে ১৬ বলে ১৬ রান।
এ ম্যাচে বাংলাদেশ দলের চালকের ভূমিকায় ছিলেন আরেক ওপেনার আয়েশা রহমান। চার রানের জন্য বঞ্চিত হন অর্ধশতক থেকে। পাঁচ চার ও দুই ছয়ের মারসহ ৪২ বলে করেন ৪৬ রান।
তিনে নেমে ফারজানা ১৭ রান করে আউট হলেও ব্যর্থ হন নিগার, ফাহিমা, রুমানা ও সানজিদ। এ ছাড়া জাহানারার ব্যাট থেকে আসে ১২ রান। নাহিদা অপরাজিত থাকেন ১ রানে। এর ফলে বাঘিনীদের মোট সংগ্রহ দাড়ায় ১২২।
আইরিশসের হয়ে লুসিও র্যা।ইলি একাই নেন চার উইকেট। এ ছাড়া কিয়ারা ম্যাটকালফ দুটি ও লোরা ডিলাইনি নেন একটি করে উইকেট।
বাংলাদেশের দেওয়া ১২৩ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়েন আইরিশ মেয়েরা। প্রথম ওভারে তারা মাত্র দুই রান তুলতে সক্ষম হন। তবে এর পর একটু থিতু হয়ে পাঁচ ওভারে তারা তোলেন ২৭ রান। বিনিময়ে মাত্র একটি উইকেট হারান আইরিশ মেয়েরা। এর পর ষষ্ঠ ওভারে আরও দুই উইকেট হারিয়ে আয়ারল্যান্ডের মেয়েদের ১০ ওভার শেষে সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫১ রান।
এর পর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট পেতে থাকেন বাংলাদেশের মেয়েরা। ১৮ ওভার শেষে আয়ারল্যান্ডের মেয়েদের ঝুলিতে জমা হয় ৯৫ রান। কিন্তু তার বিনিময়ে তাদের হারাতে হয় নয়টি উইকেট। ১৯তম ওভারে বল করতে আসেন নাহিদা আকতার। ওভারের চতুর্থ বলে আইরিশ মেয়েদের শেষ উইকেটটি তিনি নিজের নামে করে নেন। আর এর মধ্য দিয়েই আয়ারল্যান্ডের মেয়েদের পরাজয় নিশ্চিত হয়।
বাংলাদেশ নারী দলের হয়ে পান্না ঘোষ নেন পাঁচটি উইকেট। এ ছাড়া রুমানা ও নাহিদা নেন দুইটি করে উইকেট। জাহানারা আলম একটি উইকেট পান।