স্পোর্টস ডেস্ক : জিনেদিন জিদান পারেননি, পারেননি রোনালদো নাজারিও। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো কিংবা লিওনেল মেসি তো সম্ভাবনাই জাগাতে পারেননি। ফুটবলীয় অর্জনে এঁদের চেয়ে যোজন যোজন পিছিয়ে লুকা মদরিচ কিংবা রাফায়েল ভারানে। কিন্তু আজ রাতেই এমন অবিশ্বাস্য এক অর্জনে নাম লেখাবেন এঁদের যেকোনো একজন, যার স্বাদ পেয়েছেন মাত্র ৭জন!
১৯৭৪ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগ (তখনকার ইউরোপিয়ান লিগ) জিতেছিল বায়ার্ন মিউনিখ। দেশি ক্লাবের ইউরোপিয়ান সাফল্যের অভিশাপ পশ্চিম জার্মানিকে ছুঁতে পারেনি সেবার। ফেবারিট নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিল জার্মানি।
ওই শিরোপাটা জিতেই অনন্য এক অর্জনে নাম লিখিয়েছিলেন সেপ মেয়ার, পল ব্রেইটনার, হানস-জর্জ শার্জেনবেগ, ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার, জার্ড মুলার। একই বছরে বিশ্বকাপ ও ইউরোপের ক্লাব পর্যায়ে সেরা প্রতিযোগিতা জেতার প্রথম কীর্তি এঁদের। এই পাঁচজনের পর এমন কীর্তি আর খুব বেশি খেলোয়াড় করে দেখাতে পারেননি।
১৯৯৮ সালের আগে এমন কিছু আর দেখা যায়নি। সেবার রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছিলেন মিডফিল্ডার ক্রিস্টিয়ান কারেম্বু। সেবার ফ্রান্সের হয়েও বিশ্বকাপ জিতেছিলেন কারেম্বু। পরের বিশ্বকাপেও রিয়ালের আরেক খেলোয়াড় এমন কীর্তি গড়েছেন। ২০০২ সালে জিনেদিন জিদানের ওয়ান্ডার গোলে চ্যাম্পিয়নস লিগের স্বাদ পেয়েছিলেন রবার্তো কার্লোস। তথাকথিত দুই ফেবারিট ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনা গ্রুপ পর্বে আটকা পড়া ২০০২ বিশ্বকাপ জিতেছিল ব্রাজিল। সে দলের রক্ষণের বাঁদিক সামলেছেন কার্লোস।
এবারও রিয়াল মাদ্রিদ হয়েছে ইউরোপ-সেরা। ফেবারিট স্পেন, জার্মানি ও ব্রাজিলের অনেক খেলোয়াড়ই ছিলেন রিয়ালের স্কোয়াডে। সে তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে ছিল ফ্রান্স ও ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু সব হিসাব নিকাশ পাল্টে দিয়ে এখন শিরোপা লড়াইয়ে ভারানে ও মদরিচ। ও, রিয়ালের স্কোয়াডে থাকা আরেকজনও কিন্তু আছেন আজকের ফাইনালে। কিন্তু মাতেও কোভাচিচের প্রথম একাদশে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় শূন্যের কোটায়। বদলি নামলেও উলি হোয়েনেস ও স্যামি খেদিরাকে ছোঁবেন কোভাচিচ। ১৯৭৪ ও ২০১৪ চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের সময় মাঠে থাকলেও বিশ্বকাপ ফাইনালে জার্মানির হয়ে নামা হয়নি তাঁদের।