স্পোর্টস ডেস্ক : একে একে শেষ হয়েছে ২০টি আসর। ২১তম আসরকেও বিদায় জানাতে চলেছে ফুটবলপ্রেমীরা। অসংখ্য রেকর্ড হয়েছে এবারের আসরে। কিছু স্থায়ীভাবে বসে গেছে রেকর্ড বুকে, বাকিগুলো হয়তো আগামীর কোনো একটি আসরে ভেঙে যাবে। ফুটবল মানেই রেকর্ড ভাঙাগড়ার খেলা। রেকর্ড হয়েছে বিশ্বকাপের ফাইনালেও। তাও একটি নয়, এই ম্যাচে একাধিক রেকর্ডের মুখ দেখেছে ফুটবলবিশ্ব।
বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রথম আত্মঘাতী গোল করার রেকর্ড গড়েছেন মারিও মানজুকিচ। রেকর্ড আরো একটি হয়েছে। ১৯৩০ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ শুরুর পর ফাইনালের প্রথমার্ধেই তিন গোলের বেশি হয় ১৯৭৪ সালে। সেবার নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচের প্রথমার্ধে ২-১ গোলে এগিয়ে ছিল পশ্চিম জার্মানি।
৪৪ বছর পর ফাইনালের আবার এমন গোলের বন্যা দেখল বিশ্ব। রোববার মস্কোর লুজনিকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের প্রথমার্ধ যেন গোলের পসরা সাজিয়ে বসেছিল।ফাইনালে ফ্রান্স ফেভারিট হলেও শুরু থেকেই আক্রমণ শুরু করে ক্রোয়েশিয়া। তবে কাজের কাজটি করেই ফরাসিরাই। ১৮তম মিনিটে মারিও মানজুকিচের আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে ক্রোয়েটরা।
আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে গড়ে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে ক্রোয়েশিয়া। বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি মডরিচের দলকে। ভিদার শটে বল পেয়ে দারুণ শটে ফ্রান্সের জালে বল জড়িয়ে দেন সেমিফাইনালের নায়ক ইভান পেরেসিচ।
বেশিক্ষণ সমতায় থাকতে হয়নি ফ্রান্সকে। ম্যাচের ৩৮তম মিনিটে পেরিসিচের কারণে গোল হজম করতে হয় ক্রোয়েশিয়াকে। নিজেদের বক্সের মধ্যে বলে হাত লাগান তিনি। রেফারি প্রথমে পেনাল্টি না দিলেও ফ্রান্সের ফুটবলারদের জোরালো আবেদনের কারণে তাকে ভিএআরের দারস্ত হতে হয়। ফলে পেনাল্টি পায় ফ্রান্স। সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করেননি অ্যান্টনিও গ্রিজম্যান। তাতে প্রথমার্ধ ২-১ গোলের লিড নিয়ে শেষ করে ফ্রান্স।