ইবি প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে আর্থিক লেনদেনের অডিও ফাঁস হয়েছে। কথোপকথনের চারটি অডিও ক্লিপে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষকের নাম উঠে এসেছে। গত ১২ জুলাই প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ নিয়োগকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের একজন সহযোগী অধ্যাপক ও ইংরেজি বিভাগের একজন অধ্যাপকের সঙ্গে এক প্রার্থীর কথোপকথন হয়েছে। অডিও ক্লিপগুলো সমকালের হাতে এসেছে।
অডিও ক্লিপ সূত্রে জানা যায়, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে ওই প্রার্থীর কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা নেন ওই দুই শিক্ষক। পরে নিয়োগ দিতে না পারায় প্রার্থীকে টাকা ফেরত দেন তারা। অডিও ক্লিপ অনুযায়ী ওই বিভাগের আরও একজন অধ্যাপকের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় সরকারদলীয় প্রভাবশালী এক নেতার নামও এসেছে। তবে তারা সরাসরি নিয়োগ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।
এ বিষয়ে রোববার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। অডিওটির বিষয়ে ওই প্রার্থীর স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রী লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিল। তারপরও চাকরিটা কনফার্ম করতে আমরা টাকা দিয়েছি।’
কথোপকথনের বিষয়ে জানতে চেয়ে রোববার বিকেলে পক্ষ থেকে সংশ্নিষ্ট শিক্ষকদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তারা কেউ ফোন রিসিভ করেননি। তবে একজন শিক্ষক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এডিট করা ওই অডিও রেকর্ড দিয়ে একটি মহল আমাকে ফাঁসাতে চাইছে।’
ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মাহবুবুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিকে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন উর রশিদ আসকারী সমকালকে বলেন, উত্থাপিত অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন পাওয়া মাত্র দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, আমি দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স গ্রহণ করেছি। ইবিতে দুর্নীতির কোনো ঠাঁই হবে না।