Current Date:Oct 12, 2024

মৌলভীবাজারের চার রাজাকারের মৃত্যুদণ্ড

অনলাইন ডেস্ক : মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার তৎকালীন রাজাকার বাহিনীর চার সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল।

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

আসামিদের মধ্যে আকমল আলী তালুকদার রায় ঘোষণার সময় হাজির ছিলেন। বাকি তিন আসামি মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার আবদুন নূর তালুকদার ওরফে লালমিয়া, আনিছ মিয়া ও আবদুল মোছাব্বির মিয়া পলাতক।

রায়ে বলা হয়, আসামিদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা দুটি অভিযোগই প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে একটি অভিযোগে চার আসামির সবাইকে মৃত্যুদণ্ড এবং অন্য অভিযোগে সবাইকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

আকমল আলী তালুকদারসহ চারজনের বিরুদ্ধে উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে গত ২৭ মার্চ যেকোনো দিন রায় ঘোষণার (সিএভি) জন্য রেখে আদেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল। এটি যুদ্ধাপরাধের মামলায় ৩৩তম রায়।

আকমল আলী তালুকদারকে ২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়।

ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনে ছিলেন প্রসিকিউটর হায়দার আলী ও শেখ মুশফেক কবীর। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুস সোবহান তরফদার। পলাতকদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন আবুল হোসেন।

গত বছরের ৭ মে এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা-গণহত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, মরদেহ গুম, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে তাদের বিরুদ্ধে আনুমানিক ১০২টি পরিবারের ১৩২টি ঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ, ছয়জনকে ধর্ষণ, সাতজনকে অপহরণ ও ৬১ জনকে হত্যার অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে। আসামিরা ১৯৭১ সালের ৭ মে থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও ও পশ্চিমভাগ গ্রামে এসব মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।

২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর ওই চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। ওই দিনই রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রাম থেকে আকমল আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ট্রাইব্যুনাল তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।

২০১৬ সালের ২৩ মার্চ এ চারজনের বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। এর ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) তৈরি করে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেন প্রসিকিউশন।

 

Share