স্পোর্টস ডেস্ক: টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটে ঘাবড়ে যায় বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা। ক্রিকেটের এ সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ধারাবাহিকভাবে পরাজয় করে নিচ্ছে বাংলাদেশ। উইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ভরাডুবির পর ওয়ানডেতে ঘুরে দাঁড়ালেও টি-টুয়েন্টিতে এসে অসহায় আত্মসমর্পণ করে টাইগাররা।
আজ বুধবার সেন্ট কিটসে বাংলাদেশকে সাত উইকেটে পরাজিত করে উইন্ডিজরা। ১৪৪ রানের টার্গেট থাকলেও বৃষ্টি আইনে তা দাঁড়ায় ১১ ওভারে ৯১। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মুস্তাফিজের জোড়া আঘাতে কিছু একটা হওয়ার আভাস পাওয়া গেলেও শেষ পর্যন্ত স্যামুয়েল-রাসেল ঝড়ে তা মাটি হয়ে যায়। ১১ বল হাতে রেখেই জয় তুলে উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানরা।
উইন্ডিজ দুই ওপেনার দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে না পারলেও স্যামুয়েল-রাসেল ঠিকই কাজের কাজ সেরে ফেলেন। স্যামুয়েল ১৩ বলে ২৬ রান করে আউট প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। আর ২১ বলে ৩৫ রান করে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন আন্দ্রে রাসেল।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে মুস্তাফিজ নেন দুটি উইকেট আর রুবেল একটি। দুই ফাস্ট বোলার ভালো কর করলেও বোধড়ক মার খান স্পিনাররা। উইন্ডিজের আটটি ছয়ের সাতটিই আসে স্পিন বলে।
এর আগে টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন উইন্ডিজ অধিনায়ক কার্লোস ব্রাফেট। নির্ধারিত ২০ ওভারে টাইগাররা ১৪৩ রান করতে সক্ষম হয়। নিয়মিত বিরতিতে পড়তে থাকে টাইগারদের উইকেট। ছয় ওভার না যেতেই চার উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ।
প্রথম বলেই তামিম আউট হওয়ার তিন বল পরেই কোনো রান না করেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান সৌম্য সরকার। দলীয় রানের খাতা খোলার আগেই তামিম-সৌম্যর উইকেট হারিয়ে শুরুতেই বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ।
তবে লিটন-সাকিবের সাবলীল ব্যাটিং কিছুটা আশা দেখালেও পরপর এ দুই ব্যাটসম্যান আউট হয়ে গেলে আরও চাপে পড়ে টাইগাররা। লিটন ২৪ ও সাকিব ১৯ রান করেন। মুশফিক এসেও বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি ক্রিজে। ১১ রান করে উইলিয়ামসের বলে ক্যাচ দিয়ে মুশফিক ফিরে যান সাজঘরে।
আরিফুল এসে ক্রিজে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেন মাহমুদুল্লাহর সঙ্গে। এক চারের মারে ১৮ বলে ১৫ রানও করেছেন। এখানেই থেমে যেতে হয় আরিফুলকে। রাসেলের বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
আরিফুল আউট হওয়ার ক্ষত মুছতে না মুছতেই আঘাত হানেন উইলিয়ামস। এবার তার শিকার আশা ভরসার প্রতীক মাহমুদুল্লাহ। স্রোতের বিরুদ্ধে খেলা এ ব্যাটসম্যান ৩৫ রান করেন। ছিল ৩টি চার ও ২টি ছয়ের মার। মাহমুদুল্লার আউটে বড় ভালো স্কোরের স্বপ্নও ফিকে হয়ে টাইগারদের।
এক চারের মারে ১১ রান করে মেহেদি মিরাজও শিকার হন উইলিয়ামসের। মোস্তাফিজ-রুবেল অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।