ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ‘পার্লামেন্ট ওয়াচ : একাদশ জাতীয় সংসদ (১ম থেকে ৫ম অধিবেশন)’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি তথ্যভিত্তিক নয় বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানী সেতু ভবনের উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারিত অংশের অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
৩০ সেপ্টেম্বর টিআইবির প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়- একাদশ জাতীয় সংসদের ৬১ শতাংশ সাংসদ ব্যবসায়ী। বাকি ৩৯ শতাংশ সংসদ সদস্যের মধ্যে আইনজীবী ১৩ শতাংশ, রাজনীতিক পাঁচ শতাংশ ও অন্যান্য (শিক্ষক, চিকিৎসক, কৃষক, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি ও সামরিক কর্মকর্তা, গৃহিণী ও পরামর্শক ইত্যাদি) পেশার ২১ শতাংশ সদস্য রয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, এমপিদের মধ্যে কেউ আইনজীবী, কেউ চিকিৎসক আবার কেউ ব্যবসার সাথে জড়িত। জনগণের আস্থা ও সমর্থন নিয়ে তারা সংসদে এসেছেন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন, তা তো অপরাধ নয়।
টিআইবির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, প্রথম সংসদে মাত্র ১৮ শতাংশ সদস্যের পেশা ছিল ব্যবসা। ক্রমান্বয়ে এ হার বৃদ্ধি পেয়ে ৬১ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। আর প্রতিবেশী দেশ ভারতের ১৭তম লোকসভার সদস্যদের মধ্যে রাজনীতিক ৩৯ শতাংশ, ব্যবসায়ী ২৩ শতাংশ, আইনজীবী ৪ শতাংশ এবং অন্য পেশার সদস্য রয়েছেন ৩৮ শতাংশ।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিরোধী দলগুলোর সদস্য সংখ্যা কম হলেও তাদের পর্যাপ্ত সময় দেয়া হচ্ছে, সকল কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে। জনগণের ভোট নিয়ে তারা যদি আসন সংখ্যা বাড়াতে না পারে তার দায় তো সংসদের নয়।