১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপনের লক্ষ্যে জনতা ব্যাংক লিমিটেড দিনব্যাপী নানা কর্মসূচী পালন করে। এর মধ্যে খতমে কোরআন, জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা, দোয়ামাহফিল ও কোভিড পিড়িত আয়বঞ্চিত দরিদ্র মানুষদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ।
ফজরের নামাজের পর হতে খতমে কোরআনের মাধ্যমে কর্মসূচী শুরু হয়। একই সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিত করা হয়। সকাল ৮ টায় ব্যাংকের এমডি এন্ড সিইও মোঃ আব্দুছ ছালাম আজাদ (এফএফ) অন্যান্য নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণকে সাথে নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পাশাপাশি ব্যাংকের প্রতিনিধি হিসেবে ফরিদপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের জিএম রমজান বাহার টুঙ্গীপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া’র মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বেলা ১১ টায় ব্যাংকে স্থাপিত মুজিব কর্ণারে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর ব্যাংকের সকল শাখা, এরিয়া অফিস ও বিভাগীয় অফিসসমূহকে নিয়ে অনলাইন ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে ব্যাংকের এমডি এন্ড সিইও এর সভাপিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানড. এস. এম. মাহফুজুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন।
জাতির পিতার ৪৬ তম শাহাদাৎবার্ষিকীর আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ডিপার্টমেন্ট এর প্রফেসর ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য প্রফেসর ড. খন্দকার বজলুল হক।
ব্যাংকের পর্ষদের পরিচালক অজিত কুমার পাল এফসিএ, মেশকাত আহমেদ চৌধুরী, কে এম শামছুল আলম, মোহাম্মদ আসাদ উল্লাহ, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
অন্যান্যের মধ্যে ব্যাংকের ডিএমডি মো. আব্দুল জব্বার, জিএম দেলোয়ারা বেগম, সিবিএ সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনিছুর রহমান, স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদের সভাপতি ইঞ্জিঃ মোঃ মিজানুর রহমান, অফিসার ওয়েলফেয়ার এ্যসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোঃ হাসান বক্তব্য রাখেন। মাঠ পর্যায়ের নির্বাহীগণের মধ্যে টাঙ্গাইল এরিয়া অফিসের ডিজিএম ফারজানা খালেক আলোচনায় অংশ নেন।
প্রধান কার্যালয়ের ডিএমডি মোঃ জসিমউদ্দিন, সিএফও, সকল মহাব্যবস্থাপক ও অন্যান্য নির্বাহী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ সংযুক্ত ছিলেন। প্রধান কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক মোঃ আসাদুজ্জামান আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন।
সভাশেষে ১৫ আগস্টে শাহাদাৎ বরণকারিগণের আত্মার মাগফেরাত ও দেশের উন্নতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।