বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় মোখার ক্ষয়ক্ষতি পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টায় সহায়তা হিসেবে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার প্রদান করছে যুক্তরাষ্ট্র। এই সহায়তার কথা জানিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, ‘আমরা ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশি জনগণ ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাশে আছি।’
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে এ তথ্য। এতে বলা হয়, গত পাঁচ দশক ধরে দুর্যোগ মোকাবিলায় বিভিন্নভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের আওতায় মার্কিন সরকার ২০০১ সাল থেকে বাংলাদেশে দুর্যোগ মোকাবিলায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় নয়শটির মতো আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেছে। দেশটি দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি ও সতর্কতা ব্যবস্থায় বিনিয়োগ করেছে যা বহু মানুষকে ঘূর্ণিঝড়, বন্যাসহ যে কোনো পরিস্থিতি থেকে নিরাপদে রাখছে। রোহিঙ্গাদের সহায়তাও অবদান রাখছে যুক্তরাষ্ট্র।
গত ১৪ মে বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডে ও মিয়ানমারে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় মোখা। এতে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোখার কবলে পড়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীরাও। কক্সবাজার জেলা, টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনের ওপর ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাব সবচেয়ে বেশি ছিল। প্রতিঘণ্টায় বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতি ছিল ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত।
ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে বাংলাদেশে কোনো প্রাণহানি না হলেও প্রতিবেশী মিয়ানমারে মৃতের সংখ্যা অর্ধশত ছাড়িয়েছে। স্থানীয় নেতা ও জান্তা-সমর্থিত মিডিয়ার বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, মিয়ানমারে মোখার আঘাতে প্রাণহানির সংখ্যা ৬০ জনে পৌঁছেছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে শতাধিক মানুষ। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।