নিজস্ব প্রতিবেদক:
সোনালী ব্যাংক পিএলসির নিজস্ব সফটওয়্যার ‘সোনালী পেমেন্ট গেটওয়ে’তে যুক্ত হয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক। ‘সোনালী পেমেন্ট গেটওয়ে’ ব্যবহার করে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ঋণ গ্রহীতাদের কিস্তি আদায় এবং ওয়েব বেইজড স্পট ক্যাশ বৈদেশিক রেমিট্যান্স প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখার মাধ্যমে পরিশোধের লক্ষে সোনালী ব্যাংক পিএলসি ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
০৭ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ভবনের বিজয় ৭১ মিলনায়তনে দুই ব্যাংকের মধ্যে এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয়। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনালী ব্যাংক পিএলসির সিইও এন্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আফজাল করিম।
সোনালী ব্যাংকের পক্ষে জেনারেল ম্যানেজার মো. নুরূন নবী এবং প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের পক্ষে মহাব্যবস্থাপক মোঃ নূর আলম সরদার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে ওয়েজ আনার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব ) মোঃ হামিদুর রহমান, ওয়েজ আনার্স কল্যাণ বোর্ডের যুগ্মসচিব শোয়াইব আহমাদ খান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্মসচিব কামরুল হক মারুফ, সোনালী ব্যাংক পিএলসির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুভাষ চন্দ্র দাস, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে এখন থেকে ঘরে বসে Sonali eSheba মোবাইল App এর মাধ্যমে দেশ ও বিদেশ হতে দিন-রাত ২৪ ঘন্টা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ঋণগ্রহীতাগণ অনলাইনে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে পারবেন। এছাড়া প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখার মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক পিএলসি‘র বৈদেশিক রেমিট্যান্স বিতরণ করা হবে। উল্লেখ্য, Sonali e-Sheba মোবাইল App এর মাধ্যমে দেশ ও বিদেশ হতে ঘরে বসে ২ মিনিটে ব্যাংক হিসাব খোলা ও Sonali e-Wallet এর মাধ্যমে বিশ্বের যে কোন প্রান্ত হতে দিন রাত যেকোনো সময় ব্যাংকিং লেনদেন করা যাচ্ছে। Sonali e-Wallet এর মাধ্যমে চেক ছাড়াই কিউআর কোড স্ক্যান করে নগদ অর্থ উত্তোলন করা যায়। ফলে অনলাইনের মাধমে যাবতীয় ব্যাংকিং কার্যক্রম গ্রাহকদের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে।