নিজস্ব প্রতিবেদক
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এবারের নির্বাচনে আমরা ভালোভাবে করতে চাই। নির্বাচন নিয়ে আমরা বদনাম নিতে চাই না। শেখ হাসিনা সত্যিকার অর্থে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। তার ইচ্ছাকে সার্থক করতে হবে।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
দলীয় এজেন্টদের অত্যন্ত দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এজেন্টরা অনেক সময় আকামের হোতা হয়। ভেতরে বসে দলের জন্য অতি দরদ দেখাতে গিয়ে নির্বাচনের শৃঙ্খলার হুমকিতে ফেলে, এই এজেন্ট আমাদের দরকার নেই। দলে সুনাম যাতে থাকে, এরকম দায়িত্বশীল এজেন্ট আমাদের দরকার। আমার একটা আদর্শবাদী দল, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে আমরা বিশ্বাস করি, আমরা শেখ হাসিনার কর্মী, এই কথা আমাদের মনে রাখতে হবে।
এজেন্ট হয়ে ভোটারদের নিজের দলের পক্ষে ভোট ক্যাম্পেইন করার সুযোগ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ভেতরে যারা থাকবেন ভোট দিতে সাহায্য করবেন, কিন্তু ভোট কাকে দেবে সেই নিয়ে প্রভাবিত করবেন না। এটা নিয়ম নয়, নিয়মকানুন মেনে আপনারা দায়িত্ব পালন করবেন। এবারের নির্বাচনে আমরা ভালোভাবে করতে চাই। নির্বাচন নিয়ে আমরা বদনাম নিতে চাই না। শেখ হাসিনা সত্যিকার অর্থে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। তার ইচ্ছাকে সার্থক করতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, একটা বিষয় খুব অত্যন্ত দুঃখজনক এবং নিন্দনীয়, রেস্পন্সিবল লিডাররা দায়িত্বজ্ঞানহীন কথাবার্তা বলে, এমপি ছিল, মন্ত্রীও ছিল এমন লোকেরা ধমকের সুরে এখনো কথা বলে। এখনো ক্ষমতার দাপট যারা দেখায়, তাদের মুখ বন্ধ করতে হবে। নির্বাচনের যে উদ্দেশ্য সে উদ্দেশ্যকে আমরা কোনোভাবে ব্যাহত হতে দিতে পারি না। পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। অসুস্থ পরিবেশ যারা সৃষ্টি করবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এখানে কোনো হেলাফেলা চলবে না।
তিনি বলেন, রোজ পত্রিকা পড়লে দেখি ধমক দিচ্ছে, সংবিধান তাদের বাপ-দাদার সম্পত্তি নাকি? এলাকা জনগণের, জনগণকে ভোটটের সুযোগ করে দিতে হবে, তাদের জন্য পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। যাতে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসতে পারে। এ ব্যাপারে যারা বাধা দেবে সেই বাধা প্রতিহত করতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, কিছু লোক ওদের কথাবার্তা শুনলে অবাক লাগে, এরা কীসের জনপ্রতিনিধি? যারা বাজে কথা বলে, ফ্রি স্টাইল কথা বলে, এদের ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আমি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলতে চাই, আওয়ামী লীগের কেউ ভোটের পরিবেশ নষ্ট করবেন না। যারা এই পরিবেশ নষ্ট করবেন, নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নেবে, আমরা সেটাকে অকুণ্ঠ সমর্থন জানাবো। এখানে কোনো কম্প্রোমাইজের কথা আসে না।