Current Date:Nov 22, 2024

৭ দশমিক চার মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তাইওয়ান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। স্বায়ত্বশাসিত এই দ্বীপভূখণ্ডের ভূতত্ত্ববিদদের মতে, বিগত ২৫ বছরের মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প।

বুধবার স্থানী সময় সকাল ৭ টা ৫৮ মিনিটের দিকে ঘটা এই ভূমিকম্পের কম্পন তাইওয়ানের পাশাপাশি অনুভূত হয়েছে চীন, ফিলিপাইন এবং জাপানেও। এক তাৎক্ষণিক বিবৃতিতে জাপানের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বিশাল মাত্রার এই ভূমিকম্পের জেরে সুনামির আশঙ্কা রয়েছে তাইওয়ান ও তার প্রতিবেশী এই তিন দেশে। সুনামির সময় সাগরের ঢেউয়ের উচ্চতা ৩ মিটার (৯ ফুট) ছাড়িয়ে যেতে পারে।

মার্কিন ভূতত্ত্ব গবেষণা সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের (ইএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের কেন্দ্র এপিসেন্টার তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে ছিল ভূমিকম্পটির কেন্দ্র বা এপিসেন্টার এবং ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে ছিল কম্পণটির উৎপত্তিস্থল। ৭ টা ৫৮ থেকে পরবর্তী কয়েক মিনিটে অন্তত ৯ দফা কম্পণ হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউএসজিএস।

তাইওয়ানের ভূকম্পণ পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা সংস্থা তাইপে সিসমোলজি সেন্টারের পরিচালক উ শিয়েন ফু বিবিসিকে বলেন, ‘পূর্ব উপকূলে সাগর তীর বা ডাঙ্গা থেকে অল্প খানিক দূরত্বে, অর্থাৎ সাগরের অগভীর অংশে এই এপিসেন্টারের অবস্থান। এ কারণে তাইওয়ান এবং তার প্রতিবেশি দেশগুলোতে পূর্ণমাত্রার কম্পণ অনুভূত হয়েছে…গত ২৫ বছরে তাইওয়ানে যত ভূমিকম্প ঘটেছে, তার মধ্যে এটি সবচেয়ে বড়।

ফিলিপাইনের ভূমিকম্প গবেষণা সংস্থা ইতোমধ্যে সুনামি সতর্কতা জারি করেছে।

তাইওয়ানের টেলিভিশন চ্যানেল টিভিবিএস ও অন্যান্য স্থানীয় সংবাদমাধ্যম তাৎক্ষণিকভাবে কিছু ছবি ও ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে। ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে ধসে ও হেলে পড়া অ্যাপার্টমেন্ট ভবন ও স্কুলগুলো থেকে লোকজন-শিক্ষার্থীদের সরানো হচ্ছে। বাড়িঘরের ধংসাবশেষের আঘাতে বেশ কয়েকটি যানবাহন ধ্বংস হওয়া এবং বাড়িঘর-দোকানপাটের আসবাব ও অন্যান্য জিনিসপত্রের ছড়ানো ছিটানো অবস্থার ফুটেজ প্রকাশ করেছে টিভিবিএস।

ভূমিকম্পের জেরে তাইওয়ানের পাহাড়ি এলাকায় ব্যাপক ভূমিধস হয়েছে বলে জানা গেছে। এ সংক্রান্ত ভিডিও ফুটেজও প্রকাশ করেছে টিভিবিএস। তবে এখনও হতাহতের কোনো সংবাদ পাওয়া যায় নি।

এর আগে ১৯৯৯ সারের সেপ্টেম্বরে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল তাইওয়ানে। সেই ভূমিকম্পে ২ হাজার ৪০০ মানুষ নিহত হয়েছিলেন, সেই সঙ্গে ধ্বংস হয়েছিল অন্তত ৫ হাজার ভবন।

সূত্র : বিবিসি

Share