নিজস্ব প্রতিবেদক : সারা দেশে জেলা পর্যায়ে ৩০ টাকা কেজি দরে খোলা বাজারে চাল বিক্রির (ওএমএস) কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। আগামী রোববার থেকে যেকোনো ব্যক্তি জনপ্রতি পাঁচ কেজি করে চাল কিনতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে জেলাতে হলেও পরে উপজেলা পর্যায়ে ওই চাল বিক্রি শুরু করবে খাদ্য অধিদপ্তর।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার থেকে শুরু হওয়া ওএমএস কর্মসূচির জন্য প্রতি ডিলারকে এক টন করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হবে। এরই মধ্যে ওএমএসে ১৭ টাকা কেজি দরে আটা বিক্রি করছে খাদ্য অধিদপ্তর।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার থেকে ওই চাল বিক্রির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। অর্থাৎ ডিলাররা বিক্রির জন্য চাল উত্তোলন শুরু করেছেন। সারা দেশে ওই চাল বিতরণ শুরু করতে আরও দু-এক দিন সময় লাগতে পারে। অতি দরিদ্র ৫০ লাখ পরিবারকে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে এই চাল দেওয়া হবে।
খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘গরিব মানুষকে কম দামে চাল দেওয়ার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আমরা এ দুটি কার্যক্রম চালু করতে যাচ্ছি। আশা করি, এতে বাজারে চালের দামের ওপরে প্রভাব পড়বে। দাম কিছুটা কমে আসবে।’
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় মার্চ, এপ্রিল ও সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর—এই পাঁচ মাস চাল বিতরণ করা হবে। এ কর্মসূচির জন্য বছরে ৭ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল দরকার হবে।
খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বদরুল হাসান বলেন, ‘মানুষের চাহিদার কথা চিন্তা করে এবার আমরা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি এবং ওএমএসে উন্নত মানের সেদ্ধ চাল দেব।’
বর্তমানে সরকারের গুদামে মজুত আছে প্রায় ১১ লাখ ১৩ হাজার মেট্রিক টন চাল ও ৩ লাখ ৬৮ হাজার মেট্রিক টন গম।